ঢাকা ১১:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ বাহিনীর আইকন বিপ্লব কুমার সরকার-মানবতার প্রতীক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২০
  • ১৫৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ থেকে করোনা মোকাবিলার প্রতিটি সংগ্রামের অগ্রসৈনিক। এই সংগ্রামে পুলিশের ত্যাগও কম নয়। করোনা যুদ্ধে ইতিমধ্যে প্রাণ দিয়েছেন ৭৫ জন বীর পুলিশ সদস্য। আক্রান্ত সতেরো হাজারেরও বেশি। সারা দেশের মতো রংপুর জেলায় করোনা সচেতনতা বৃদ্ধি, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত, ত্রাণ বিতরণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন রাস্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ১৮৭ জন পুলিশ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে রংপুরের মতো বিশাল একটি জেলায় জনগণকে সেবা দিতে গিয়ে করোনার ঝুুঁকি ছিলো অনেক বেশি। কিন্তু সেই তুলনায় রংপুর জেলা পুলিশে আক্রান্তের হার অনেক কম। আর এর সবই সম্ভব হয়েছে রংপুর জেলা পুলিশের কর্ণধার ও বাংলাদেশ পুলিশের আইকন পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার), পিপিএম এর সুদৃঢ় নেতৃত্ব ও পরিকল্পনার কারণে।

পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই জেলার সকল পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লোভস, ফেসশিল্ড, আই প্রোটেকটর, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পিপিই সরবরাহ করেন। জেলা পুলিশের সকল সদস্যদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দুধ, ডিম, জিংক ও ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট সরবরাহ করা হয়।

পুলিশ সুপারের নির্দেশে পুলিশ সদস্য ও সেবাপ্রার্থীদের নিরাপত্তার জন্য সকল থানা ও জেলা পুলিশ অফিসে জীবাণুনাশক টানেল স্থাপন করা হয়। সকল ব্যারাকে ও অফিস স্থাপনায় জীবাণুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা করা হয়। জেলার সকল স্তরে পুলিশ সদস্যদের ভাগ করে আলাদা আলাদা গ্রুপে ভাগ করে ডিউটি শিডিউল প্রণয়ন করা হয় যাতে একসাথে সবাই আক্রান্ত না হয়। আর কোনও থানা বা অফিস আক্রান্ত হলে কিভাবে জনগণকে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দেয়া যাবে এজন্য বিশেষ কন্টিনিউটি প্ল্যান তৈরী করা হয়। প্রতিটি থানায় ও জেলা সদরে কুইক রেসপন্স টিম তৈরী করা হয়।

সম্ভাব্য আক্রান্তদের আলাদা চিকিৎসা সেবার জন্য প্রতিটি থানায় ও জেলা সদরে আলাদা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ও চিকিৎসাকেন্দ্র অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। করোনা লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে আলাদা করে দ্রুত নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা নেয়া হয়। কোন পুলিশ সদস্য করোনা আক্রান্ত হলে তাকে আইসোলেশনে রেখে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রয়োজনে জেলা পুলিশ হাসপাতালে কিংবা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ সুপারের নির্দেশে প্রতিটি আক্রান্ত সদস্যকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে উন্নত মানের খাবার, ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল, ভেষজ ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করা হয়। জরুরি সংকটাপন্ন রোগীর জন্য হেলিকপ্টার যোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

পুলিশ সুপারের সুযোগ্য নেতৃত্ব, একান্ত প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতার ফলে রংপুর জেলা পুলিশের ২৮৭ জন আক্রান্তদের মধ্যে সকলেই সুস্থ হয়ে গেছেন। একজন প্রকৃত অভিভাবক হয়ে এই দুঃসময়ে অধঃস্তন অফিসারদের প্রতি এসপি বিপ্লব কুমার সরকার যে মানবিকতা ও দায়িত্বশীলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, রংপুর জেলা পুলিশের সদস্যগণ ও তাদের পরিবারের সদস্যগণ এজন্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।

সম্পাদনা-মোস্তাফিজার বাবলু।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পুলিশ বাহিনীর আইকন বিপ্লব কুমার সরকার-মানবতার প্রতীক

আপডেট টাইম : ০২:৫৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ থেকে করোনা মোকাবিলার প্রতিটি সংগ্রামের অগ্রসৈনিক। এই সংগ্রামে পুলিশের ত্যাগও কম নয়। করোনা যুদ্ধে ইতিমধ্যে প্রাণ দিয়েছেন ৭৫ জন বীর পুলিশ সদস্য। আক্রান্ত সতেরো হাজারেরও বেশি। সারা দেশের মতো রংপুর জেলায় করোনা সচেতনতা বৃদ্ধি, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত, ত্রাণ বিতরণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন রাস্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ১৮৭ জন পুলিশ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে রংপুরের মতো বিশাল একটি জেলায় জনগণকে সেবা দিতে গিয়ে করোনার ঝুুঁকি ছিলো অনেক বেশি। কিন্তু সেই তুলনায় রংপুর জেলা পুলিশে আক্রান্তের হার অনেক কম। আর এর সবই সম্ভব হয়েছে রংপুর জেলা পুলিশের কর্ণধার ও বাংলাদেশ পুলিশের আইকন পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার), পিপিএম এর সুদৃঢ় নেতৃত্ব ও পরিকল্পনার কারণে।

পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই জেলার সকল পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লোভস, ফেসশিল্ড, আই প্রোটেকটর, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পিপিই সরবরাহ করেন। জেলা পুলিশের সকল সদস্যদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দুধ, ডিম, জিংক ও ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট সরবরাহ করা হয়।

পুলিশ সুপারের নির্দেশে পুলিশ সদস্য ও সেবাপ্রার্থীদের নিরাপত্তার জন্য সকল থানা ও জেলা পুলিশ অফিসে জীবাণুনাশক টানেল স্থাপন করা হয়। সকল ব্যারাকে ও অফিস স্থাপনায় জীবাণুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা করা হয়। জেলার সকল স্তরে পুলিশ সদস্যদের ভাগ করে আলাদা আলাদা গ্রুপে ভাগ করে ডিউটি শিডিউল প্রণয়ন করা হয় যাতে একসাথে সবাই আক্রান্ত না হয়। আর কোনও থানা বা অফিস আক্রান্ত হলে কিভাবে জনগণকে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দেয়া যাবে এজন্য বিশেষ কন্টিনিউটি প্ল্যান তৈরী করা হয়। প্রতিটি থানায় ও জেলা সদরে কুইক রেসপন্স টিম তৈরী করা হয়।

সম্ভাব্য আক্রান্তদের আলাদা চিকিৎসা সেবার জন্য প্রতিটি থানায় ও জেলা সদরে আলাদা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ও চিকিৎসাকেন্দ্র অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। করোনা লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে আলাদা করে দ্রুত নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা নেয়া হয়। কোন পুলিশ সদস্য করোনা আক্রান্ত হলে তাকে আইসোলেশনে রেখে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রয়োজনে জেলা পুলিশ হাসপাতালে কিংবা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ সুপারের নির্দেশে প্রতিটি আক্রান্ত সদস্যকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে উন্নত মানের খাবার, ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল, ভেষজ ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করা হয়। জরুরি সংকটাপন্ন রোগীর জন্য হেলিকপ্টার যোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

পুলিশ সুপারের সুযোগ্য নেতৃত্ব, একান্ত প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতার ফলে রংপুর জেলা পুলিশের ২৮৭ জন আক্রান্তদের মধ্যে সকলেই সুস্থ হয়ে গেছেন। একজন প্রকৃত অভিভাবক হয়ে এই দুঃসময়ে অধঃস্তন অফিসারদের প্রতি এসপি বিপ্লব কুমার সরকার যে মানবিকতা ও দায়িত্বশীলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, রংপুর জেলা পুলিশের সদস্যগণ ও তাদের পরিবারের সদস্যগণ এজন্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।

সম্পাদনা-মোস্তাফিজার বাবলু।