ঢাকা ০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবর থেকে তোলা হলো রায়হানের লাশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:২১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০
  • ১৪৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ‘পুলিশের নির্যাতনে’ নিহত রায়হান আহমদের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আখালিয়া নবাবী মসজিদ কবরস্থান ও তার আশপাশ এলাকা ঘিরে রাখে পিবিআই।

পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজিবুর রহমান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিনের উপস্থিতিতে লাশ উঠানো হয়।

এর আগে বুধবার রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুনরায় ময়নাতদন্তের অনুমতি দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খালেদুজ্জামান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে দু্ইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আমরা রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছি। এরপর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে।

তিনি জানান, হেফাজতে মৃত্যু আইনে মামলা হলে নিহত ব্যক্তির ময়না তদন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্টেটের উপস্থিতিতে করার বিধান রয়েছে। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি ছাড়াই ময়নাতদন্ত করে রায়হানকে কবর দেওয়া হয়।

এ কারণে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের আবেদন করেছিলেন মামলার সাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা কতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাতেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতেই রায়হান আহমদের মরদেহ কবর থেকে তোলার অনুমতি দেন জেলা প্রশাসক।

লাশ উত্তোলনের সময় পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও স্থানীয় কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কবর থেকে তোলা হলো রায়হানের লাশ

আপডেট টাইম : ০৩:২১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ‘পুলিশের নির্যাতনে’ নিহত রায়হান আহমদের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আখালিয়া নবাবী মসজিদ কবরস্থান ও তার আশপাশ এলাকা ঘিরে রাখে পিবিআই।

পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজিবুর রহমান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিনের উপস্থিতিতে লাশ উঠানো হয়।

এর আগে বুধবার রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুনরায় ময়নাতদন্তের অনুমতি দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খালেদুজ্জামান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে দু্ইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আমরা রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছি। এরপর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে।

তিনি জানান, হেফাজতে মৃত্যু আইনে মামলা হলে নিহত ব্যক্তির ময়না তদন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্টেটের উপস্থিতিতে করার বিধান রয়েছে। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি ছাড়াই ময়নাতদন্ত করে রায়হানকে কবর দেওয়া হয়।

এ কারণে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের আবেদন করেছিলেন মামলার সাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা কতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাতেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতেই রায়হান আহমদের মরদেহ কবর থেকে তোলার অনুমতি দেন জেলা প্রশাসক।

লাশ উত্তোলনের সময় পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও স্থানীয় কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান উপস্থিত ছিলেন।