ঢাকা ১০:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেই আরুক মুন্সীর বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:২২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০১৯
  • ২৬৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় রীতিমতো তারকা বনে গেছেন প্রায় বঙ্গবন্ধুর মতো দেখতে আরুক মুন্সী। তিনি যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই মানুষ ভিড় করছেন তাকে এক পলক দেখার জন্য। তাকে জড়িয়ে অনেকেই ফ্রেমবন্দি হচ্ছেন। কেউ কেউ আবার তাকে বাসায় দাওয়াত দিচ্ছেন। অনেকেই তার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন, দিচ্ছেন উপ-ঢৌকন।

ইতোমধ্যে তিনি সরকারের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। তারা তার সাথে কুশল বিনিময়সহ খোঁজ-খবরও নিয়েছেন।

শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আরুক মুন্সি জানান, বঙ্গবন্ধুর বেশভুষায় ঘুরে-ফিরে ভালই লাগে। স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তিনি আজ বঙ্গবন্ধুর মাজারে আসেন। পরে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ আহম্মদ হোসেন মির্জাকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর মাজারে আসা দর্শনার্থীরা তাকে কাছে পেয়ে একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন। অনেকেই তাকে নিয়ে সেলফি তুলেন। সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এর আগেও তিনি বঙ্গবন্ধুর মাজারে এসেছেন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বলে জানান আরুক মুন্সী।

টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ আহম্মদ হোসেন মির্জা বলেছেন, আরুক মুন্সীকে দেখতে অনেকটা বঙ্গবন্ধুর মতো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন আরুক মুন্সি এমনটি প্রত্যাশা করেন তিনি।

আরুক মুন্সী বলেন, অনেকে মনে করেন আমাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো দেখা যায়। কিন্তু আমার কাছে কখনো মনে হয় না আমাকে বঙ্গবন্ধুর মতো দেখা যায়। তিনি একজন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, যতদিন তিনি বেঁচে থাকবেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে যাবেন বলে তিনি জানান।

তিনি অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন, তিনি একজন দুই পয়সার সামান্য কর্মচারী, অশিক্ষিত মানুষ। অনেকে বলেন তাকে দেখতে বঙ্গবন্ধুর মতো দেখতে, বঙ্গবন্ধুকে যারা ভালবাসেন তারা অনেক অনুসারী আমাকে দেখে দোয়া করেন, এটাই আমার কাছে বড় পাওয়া।

অনেকেই আরুক মন্সিকে বঙ্গবন্ধুর মতো দেখতে মনে করলেও এটা নিয়ে অনেকের মধ্যে ভিন্ন মত রয়েছে। তারা বলেছেন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও হেয়ার কাটিং বঙ্গবন্ধুর বেশ ধারণ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। আসলে বঙ্গবন্ধুর সাথে আরুক মুন্সির চেহারা বা আকার-আকৃতিতে কোন মিল নেই। তাদের ধারণা, কোন বাড়তি সুযোগ-সুবিধার জন্য তিনি দীর্ঘ বছর পরে বঙ্গবন্ধুর বেশ ধারণ করেছেন।

আরুক মুন্সী ১৯৬৯ সালের ৬ জুলাই গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত কামারোল গ্রামে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ৩ ছেলে মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন ঢাকার হাতিরপুল পাওয়ার হাউজ এলাকায়। ১৯৯৩ সাল থেকে গাড়িচালক পদে চাকরি করেন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে (ডিপিডিসি)। ৮ম শ্রেণি পাস বলে চাকরিতে পদোন্নতি পাননি তিনি। তবে বঙ্গবন্ধুর চেহারার সঙ্গে তার চেহারার কিছুটা মিল থাকায় তিনি যেখানেই যান, সবখানে মানুষের ভালবাসা পান। বঙ্গবন্ধু ভক্তদের আগ্রহ থাকে তাকে ঘিরে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাকে দেখতে ছুটে আসেন বঙ্গবন্ধু ভক্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

অনেকেই বলে তাকে বঙ্গবন্ধুর মতো দেখতে লাগে। যদিও তিনি নিজেকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তুলনা করতে চান না। তিনি মনে করেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় আর কোন বঙ্গবন্ধু জন্মাবে না। তাই নিজেকে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক মনে করেন আরুক মুন্সী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে চলতে চান। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজের অবস্থান থেকে কাজ করতে চান তিনি।

আরুক মুন্সী স্বপ্ন দেখেন-বিশ্বাস করেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সেই আরুক মুন্সীর বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ

আপডেট টাইম : ০৬:২২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় রীতিমতো তারকা বনে গেছেন প্রায় বঙ্গবন্ধুর মতো দেখতে আরুক মুন্সী। তিনি যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই মানুষ ভিড় করছেন তাকে এক পলক দেখার জন্য। তাকে জড়িয়ে অনেকেই ফ্রেমবন্দি হচ্ছেন। কেউ কেউ আবার তাকে বাসায় দাওয়াত দিচ্ছেন। অনেকেই তার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন, দিচ্ছেন উপ-ঢৌকন।

ইতোমধ্যে তিনি সরকারের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। তারা তার সাথে কুশল বিনিময়সহ খোঁজ-খবরও নিয়েছেন।

শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আরুক মুন্সি জানান, বঙ্গবন্ধুর বেশভুষায় ঘুরে-ফিরে ভালই লাগে। স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তিনি আজ বঙ্গবন্ধুর মাজারে আসেন। পরে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ আহম্মদ হোসেন মির্জাকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর মাজারে আসা দর্শনার্থীরা তাকে কাছে পেয়ে একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন। অনেকেই তাকে নিয়ে সেলফি তুলেন। সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এর আগেও তিনি বঙ্গবন্ধুর মাজারে এসেছেন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বলে জানান আরুক মুন্সী।

টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ আহম্মদ হোসেন মির্জা বলেছেন, আরুক মুন্সীকে দেখতে অনেকটা বঙ্গবন্ধুর মতো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন আরুক মুন্সি এমনটি প্রত্যাশা করেন তিনি।

আরুক মুন্সী বলেন, অনেকে মনে করেন আমাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো দেখা যায়। কিন্তু আমার কাছে কখনো মনে হয় না আমাকে বঙ্গবন্ধুর মতো দেখা যায়। তিনি একজন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, যতদিন তিনি বেঁচে থাকবেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে যাবেন বলে তিনি জানান।

তিনি অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন, তিনি একজন দুই পয়সার সামান্য কর্মচারী, অশিক্ষিত মানুষ। অনেকে বলেন তাকে দেখতে বঙ্গবন্ধুর মতো দেখতে, বঙ্গবন্ধুকে যারা ভালবাসেন তারা অনেক অনুসারী আমাকে দেখে দোয়া করেন, এটাই আমার কাছে বড় পাওয়া।

অনেকেই আরুক মন্সিকে বঙ্গবন্ধুর মতো দেখতে মনে করলেও এটা নিয়ে অনেকের মধ্যে ভিন্ন মত রয়েছে। তারা বলেছেন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও হেয়ার কাটিং বঙ্গবন্ধুর বেশ ধারণ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। আসলে বঙ্গবন্ধুর সাথে আরুক মুন্সির চেহারা বা আকার-আকৃতিতে কোন মিল নেই। তাদের ধারণা, কোন বাড়তি সুযোগ-সুবিধার জন্য তিনি দীর্ঘ বছর পরে বঙ্গবন্ধুর বেশ ধারণ করেছেন।

আরুক মুন্সী ১৯৬৯ সালের ৬ জুলাই গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত কামারোল গ্রামে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ৩ ছেলে মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন ঢাকার হাতিরপুল পাওয়ার হাউজ এলাকায়। ১৯৯৩ সাল থেকে গাড়িচালক পদে চাকরি করেন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে (ডিপিডিসি)। ৮ম শ্রেণি পাস বলে চাকরিতে পদোন্নতি পাননি তিনি। তবে বঙ্গবন্ধুর চেহারার সঙ্গে তার চেহারার কিছুটা মিল থাকায় তিনি যেখানেই যান, সবখানে মানুষের ভালবাসা পান। বঙ্গবন্ধু ভক্তদের আগ্রহ থাকে তাকে ঘিরে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাকে দেখতে ছুটে আসেন বঙ্গবন্ধু ভক্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

অনেকেই বলে তাকে বঙ্গবন্ধুর মতো দেখতে লাগে। যদিও তিনি নিজেকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তুলনা করতে চান না। তিনি মনে করেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় আর কোন বঙ্গবন্ধু জন্মাবে না। তাই নিজেকে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক মনে করেন আরুক মুন্সী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে চলতে চান। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজের অবস্থান থেকে কাজ করতে চান তিনি।

আরুক মুন্সী স্বপ্ন দেখেন-বিশ্বাস করেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।