‘পুলিশ কখনো অন্যায় করে না, সে যতক্ষণ আমার পুলিশ’ কবি শঙ্খ ঘোষের কবিতার এই চরণ কতবার যে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে হিসাব নেই। কতবার যে নিজেই এটি ব্যবহার করেছি লেখায় তাও মনে নেই। তবে এটা বুঝতে পারি কবিতার এই চরণ মাঝেমধ্যে রাজপথের পুলিশের বেহিসেবি আচরণ দেখলেই মনে পড়ে। কিছু কিছু কবিতা পোস্টার হয়ে উঠে আসে। কখনো স্লোগান কখনো বা ছবির ক্যানভাস। পহেলা বৈশাখ পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও মা-বোনেরা টিএসসির কাছে উৎসবমুখর মানুষের ঢলে লাঞ্ছিত হয়েছে। পুলিশ নারী সম্ভ্রম রক্ষা করতে পারেনি।
এ নিয়ে তাদের কারো কারো লাজলজ্জা বলে কিছু নেই। এ নিয়ে কারো কারো গ্লানি নেই। গোটা দেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওইসব বিকৃতি নষ্ট পুরুষের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ঘৃণার সঙ্গে। সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই ফুটেজ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু প্রায় এক মাস পার হতে চলল পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার করা দূরে থাক শনাক্তই করতে পারেনি।
গতকাল ছাত্র ইউনিয়নসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রীরা ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি পালন করতে এসে জলকামানে গরম পানি খেয়েছে। বেপরোয়া লাঠিচার্জের শিকার হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার আমার দেখা একজন চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা। আওয়ামী লীগের ’৯৬ শাসনামলে সুনামগঞ্জ পাবনার পুলিশ সুপার ছিলেন। পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রামের ডিআইজি ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্বজন মানুষটি পেশাগত ক্যারিয়ারে কালো দাগও নেই। পহেলা বৈশাখের নারী লাঞ্ছনার প্রতিবাদে অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে ছুটে আসা ছাত্রছাত্রীদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়ার সাক্ষাৎ করিয়ে দিলেই তিনি তাদের সন্তুষ্ট করতে পারতেন বলেই আমার বিশ্বাস।
কিন্তু সেখানে দু’পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জের কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকায় দু’দফা মিছিল আটকাতে চায়। শেষ পর্যন্ত মিন্টো রোড ও শেরাটনের সংযোগস্থলে আটকে দিয়ে বলেছিল দু’-তিনজনকে ডিএমপি কমিশনার কার্যালয়ে যেতে। মিছিলকারীরা মানেনি। পুলিশ এখানে দু’-তিনজনের জায়গায় দশজনকে যাওয়ার অনুমতি দিলে এমনটি ঘটত না। পরবর্তী সময়ে দু’পক্ষই সীমা লঙ্ঘন করেছে। পুলিশ একটু বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে। জলকামান ব্যবহার করেই থামেনি, বেধড়ক লাঠি চালিয়েছে। তরুণরা লাঠিতে রক্তাক্ত হয়েছে।
অবাক হতে হয়েছে মা দিবসের এই দিনে নারী লাঞ্ছনার প্রতিবাদে আসা ছাত্রীদের একজন যখন ভয়ে রেলিংয়ের পাশে আশ্রয় নিয়েছিল তিনজন পুলিশ তাকে তেড়ে গেছে। একজন বুট চালিয়েছে। আরেকজন চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়েছে। মনে হয়েছে হায় সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ। সাগর-রুনির মতো নিরীহ সংবাদকর্মী ঘরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। পুলিশ ঘাতক ধরা দূরে থাক রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি। তাদের সন্তান মেঘের কান্না শোনে বাংলাদেশ। পহেলা বৈশাখের লাঞ্ছিত নারীর ওপর হামলে পড়া অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পারে না।
প্রতিবাদী মেয়েটির চুলের মুঠি ধরে টেনে নিতে পারে। এই ঘটনায় যেসব পুলিশ সদস্য বাড়াবাড়ি করেছে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। সেই সঙ্গে পুলিশকে মানুষের বন্ধুর ভাবমূর্তির ইমেজ পুনরুদ্ধারে এগিয়ে আসা উচিত। মনে রাখা উচিত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় কল্যাণ রাষ্ট্র। পুলিশি রাষ্ট্র নয়। পুলিশ মানুষের জানমাল, সম্ভ্রমের হেফাজত করবে। হরণ নয়। হরণকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করবে।
এ নিয়ে তাদের কারো কারো লাজলজ্জা বলে কিছু নেই। এ নিয়ে কারো কারো গ্লানি নেই। গোটা দেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওইসব বিকৃতি নষ্ট পুরুষের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ঘৃণার সঙ্গে। সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই ফুটেজ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু প্রায় এক মাস পার হতে চলল পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার করা দূরে থাক শনাক্তই করতে পারেনি।
গতকাল ছাত্র ইউনিয়নসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রীরা ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি পালন করতে এসে জলকামানে গরম পানি খেয়েছে। বেপরোয়া লাঠিচার্জের শিকার হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার আমার দেখা একজন চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা। আওয়ামী লীগের ’৯৬ শাসনামলে সুনামগঞ্জ পাবনার পুলিশ সুপার ছিলেন। পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রামের ডিআইজি ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্বজন মানুষটি পেশাগত ক্যারিয়ারে কালো দাগও নেই। পহেলা বৈশাখের নারী লাঞ্ছনার প্রতিবাদে অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে ছুটে আসা ছাত্রছাত্রীদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়ার সাক্ষাৎ করিয়ে দিলেই তিনি তাদের সন্তুষ্ট করতে পারতেন বলেই আমার বিশ্বাস।
কিন্তু সেখানে দু’পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জের কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকায় দু’দফা মিছিল আটকাতে চায়। শেষ পর্যন্ত মিন্টো রোড ও শেরাটনের সংযোগস্থলে আটকে দিয়ে বলেছিল দু’-তিনজনকে ডিএমপি কমিশনার কার্যালয়ে যেতে। মিছিলকারীরা মানেনি। পুলিশ এখানে দু’-তিনজনের জায়গায় দশজনকে যাওয়ার অনুমতি দিলে এমনটি ঘটত না। পরবর্তী সময়ে দু’পক্ষই সীমা লঙ্ঘন করেছে। পুলিশ একটু বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে। জলকামান ব্যবহার করেই থামেনি, বেধড়ক লাঠি চালিয়েছে। তরুণরা লাঠিতে রক্তাক্ত হয়েছে।
অবাক হতে হয়েছে মা দিবসের এই দিনে নারী লাঞ্ছনার প্রতিবাদে আসা ছাত্রীদের একজন যখন ভয়ে রেলিংয়ের পাশে আশ্রয় নিয়েছিল তিনজন পুলিশ তাকে তেড়ে গেছে। একজন বুট চালিয়েছে। আরেকজন চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়েছে। মনে হয়েছে হায় সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ। সাগর-রুনির মতো নিরীহ সংবাদকর্মী ঘরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। পুলিশ ঘাতক ধরা দূরে থাক রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি। তাদের সন্তান মেঘের কান্না শোনে বাংলাদেশ। পহেলা বৈশাখের লাঞ্ছিত নারীর ওপর হামলে পড়া অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পারে না।
প্রতিবাদী মেয়েটির চুলের মুঠি ধরে টেনে নিতে পারে। এই ঘটনায় যেসব পুলিশ সদস্য বাড়াবাড়ি করেছে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। সেই সঙ্গে পুলিশকে মানুষের বন্ধুর ভাবমূর্তির ইমেজ পুনরুদ্ধারে এগিয়ে আসা উচিত। মনে রাখা উচিত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় কল্যাণ রাষ্ট্র। পুলিশি রাষ্ট্র নয়। পুলিশ মানুষের জানমাল, সম্ভ্রমের হেফাজত করবে। হরণ নয়। হরণকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করবে।