হাওর বার্তা ডেস্কঃ উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন একজন প্রার্থী যতোই প্রভাবশালী হোক না কেন, আচরণবিধি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন। তাকে জরিমানা করতে পারেন। তাকে জেলে দিতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, গা-ছাড়া অবস্থায়, ঢিলাঢেলা অবস্থায়, হলো কি হলো না, এই মনোভাব নিয়ে দয়া করে নির্বাচন পরিচালনা করবেন না। আপনাদের হাতে সম্পূর্ণ ক্ষমতা অর্পিত আছে। সেই ক্ষমতা বলে আপনারা অনেক কিছু করতে পারেন। আপনি আপনার উপজেলার নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারেন, একজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে দিতে পারেন।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, আমরা কি বলেছি কখনও, আপনারা নির্বাচন সুষ্ঠু করবেন না, কোনো একটা প্রার্থীকে জিতিয়ে দেবেন, কোনো একটা দলের দায়িত্ব নিতে হবে– এ কথা কেউ বলেছে? তাহলে কেন মাথা উঁচু করে দৃঢ়তার সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবেন না? সুতরাং আমার কথা হলো পরিষ্কার, স্পষ্ট- যে নির্বাচন কমিশন আপনাকে/আপনাদেরকে একেকটা ব্যক্তিকে একেকটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চায়। আপনি যে উপজেলার দায়িত্ব নেবেন, সেই উপজেলায় আপনি একটা প্রতিষ্ঠান। আপনি একজন নির্বাচন কমিশন। আপনি একজন নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন একজন ব্যক্তি। যার দায়বদ্ধতা কেবল সংবিধানের ওপর।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আপনি ব্যর্থ হলেন, আপনাকে শোকজ করা হলো, আপনি তার উত্তর দিলেন। তারপর তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। এই সমস্ত জিনিস, এই সমস্ত টালবাহানা নির্বাচন পরিচালনার জন্য মোটেই হাতিয়ার নয়। আমরা এগুলো দেখতে চাই না।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।