ভালবাসা মেনে না নেয়ায় রাজশাহীতে প্রেমিক যুগল এক সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে এক সঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন। নগরীর লক্ষীপুর কদমতলার মোড় এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে তারা আত্মহত্যা করেন। নিহতরা হলেন, শারমিন (১৯) ও আব্দুল মমিন (২২)। শারমিন ডায়াবেটিক নার্সিং ইনস্টিটিউটে পড়তেন। সে পবা উপজেলার শিতলাই এলাকার চাঁন মিয়ার কন্যা। মমিন উদয়ন ডেন্টাল ইনস্টিটিউটের ছাত্র। শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় এঘটনা জানতে পারেন এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে তাদের লাশ উদ্ধার করেছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় তিন মাস আগে লক্ষীপুর কদমতলার মোড় এলাকার মোশারফের বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ ভাড়া নেন তারা। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তারা ভাড়া বাড়িতে তারা বসবাস করছিলেন। শুক্রবার রাত থেকে তাদের ঘরের দরজা বন্ধ থাকতে দেখা যায়। কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে শনিবার সকাল ৯ টার দিকে স্থানীয়রা তাদের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে ঘরের ভেতরে ফ্যান ঝোলানোর হুকের সঙ্গে মমিনের এবং জানালার গ্রিলের সঙ্গে শারমিনের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
রাজপাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মাহমুদুর রহমান জানান, নিহতরা দুজন একে অপরকে ভালবাসতেন। আত্মহত্যার আগে তারা একটি চিরকুট লিখে গেছেন। এতে লেখা আছে আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমরা দুজন দুজনকে ভালবাসতাম। কেউ মেনে নেয়নি তাই দুনিয়া থেকে চলে গেলাম। আমাদের কবর যেন একসঙ্গে পাশাপাশি হয়।
তিনি আরো জানান, এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর পেছনে অন্য কোন কারণ আছে কী না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।