শুধু একটা বিশ্বকাপ ট্রফি; এটা জিততে পারছেন না বলেই পেলে কিংবা দিয়াগো ম্যারাডোনার কাতারে ‘আসি আসি’ করেও আসতে পারছেন না লিওনেল মেসি। বিরুদ্ধবাদীদের মতে, যতক্ষণ না মেসি আর্জেন্টিনাকে একটি বিশ্বকাপ জেতাতে পারছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে পেলে-ম্যারাডোনার মতো গ্রেট বলা চলে না; তাকে কিংবদন্তিদের কাতারেও আনা চলে না। তবে ভিন্ন কথা বলছেন আর্জেন্টিনার সাবেক ফুটবলার ও বিশ্বকাপ জয়ী কোচ সিজার লুই মেনোত্তি।
তার মতে, ম্যারাডোনার কাতারেই স্থান লিওনেল মেসির। এমনকি বিশ্বকাপ না জিতলেও আর্জেন্টিনা জাতীয় দলকে ম্যারাডোনার চেয়ে বেশিই দিয়েছেন মেসি। শুধু আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা তাকে যোগ্য সহায়তা দিতে পারছে না বলেই বিশ্বকাপটা জেতা হয়ে উঠছে না তার।
১৯৭৮ সালে প্রথমবারের মতো ফুটবলের বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। কোচ হিসেবে মেনোত্তিই দেশকে উপহার দিয়েছিলেন বিশ্বসেরার সন্মান। এক সময় স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনারও কোচ ছিলেন তিনি।
১৯৮৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। আর তা সম্ভব হয়েছিল ‘ফুটবলের রাজপুত্র’ দিয়াগো ম্যারাডোনার জাদুকরী ফুটবলেই। এরপর আর এই সন্মান জুটেনি আর্জেন্টিনার ভাগ্যে। যদিও ১৯৯০ সালে ম্যারাডোনা দলকে ফাইনালে টেনে নিয়েছিলেন। আর গত বছর (২০১৪ সাল) ব্রাজিলের মাটিতে মেসির নৈপুণ্যে ফাইনালে উঠেছিল বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা দলটি। কিন্তু শেষ অবধি জার্মানির কাছে ১-০ গোল হেরে মেসিদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন ভেঙে চূড়ামার হয়েছে।
তবে মেনোত্তি বলছেন, ‘জাতীয় দলেকে ম্যারাডোনার চেয়ে বেশিই গুণান্বিত করেছেন মেসি। দিয়াগোর (ম্যারডোনা) উন্নতিটা ছিল মূলত নেতৃত্বগুণে; আর মেসির উন্নতি তার চেয়ে বেশি পরিমাণ নির্ভুল, যে ক্লাবে (বার্সেলোনা) সে বেড়ে উঠেছে তার কারণে। তবে মাঠের শেষ ২০ মিটারে কিন্তু দুজনই এক। মেসিই একমাত্র দিয়াগোর মতো গোল করতে পারে।’
মেনোত্তি আরও যোগ করেছেন, ‘সন্দেহ নেই মেসি জাতীয় দলে বেশি পরিমাণে গুণগত মান যোগ করেছেন। তবে আর্জেন্টিনা তাকে কখনো সহায়তা করতে পারে, কখনো পারে না।’