মেহেদি হাসান মিরাজকে বলা হয় বাংলাদেশের আগামী দিনের মাশরাফি। মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ পাচ্ছে একের পর এক সাফল্য। মেহেদীর ক্ষেত্রেও তা-ই। তার নেতৃত্বেই যে দেশ-বিদেশে একের পর এক জয় পাচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ক্রিকেটীয় দিক বিবেচনা করলে এসব মিল হয়তো খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে মাঠে ও মাঠের বাইরে দুজনের চরিত্রগত অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যাবে। চলমান জাতীয় লিগে খুলনা বিভাগের হয়ে দারুণ সময় কাটাছেন মিরাজ। তার দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স এবারের জাতীয় লিগে প্রথম জয় পেয়েছে খুলনা। বারবার ম্যাচের লাগাম হাতবদল হওয়ার উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে রংপুরকে ১৩ রানে হারিয়েছে খুলনা।
জাতীয় লিগে মেহেদি হাসান মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে এই আসরের প্রথম জয় পেয়েছে খুলনা। দারুণ উত্তেজনাকর এই ম্যাচে রংপুরকে ১৩ রানে হারিয়েছে খুলনা। মেহেদি প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও নিয়েছেন ৪ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সপ্তম ম্যাচেই প্রথমবার ১০ উইকেট শিকার করলেন তিনি। সঙ্গে লো-স্কোরিং ম্যাচের দুই ইনিংসে ৬৭ ও ৩৩ রানের দুটি মহামূল্য ইনিংস। রংপুরের তরুণ অফ স্পিনার সঞ্জিত সাহা নিয়েছেন ম্যাচে ১১ উইকেট। কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সতীর্থকে ছাপিয়ে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন খুলনাকে জেতানো মেহেদিই। আগের ম্যাচেও ব্যাট হাতে অর্ধশত করার পাশাপাশি বল হাতে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন তরুণ এই অলরাউন্ডার।
জয়ের পথে আগের দিন বিকেলেই অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল খুলনা। মাত্র ২০০ রানের লক্ষ্য দিতে পারলেও ৫৮ রানে তুলে নিয়েছিল রংপুরের ৬ উইকেট তবে মঙ্গলবার শেষ দিন সকালে ৬২ রানের জুটি গড়ে রংপুরকে ম্যাচে ফেরান দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান নাঈম ইসলাম ও ধীমান ঘোষ। নাঈমকে এলবিডব্লিউ করে লাঞ্চের আগে এই জুটি ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার মুরাদ খান ধীমান পরে আরিফুলের সঙ্গে এগিয়ে নিচ্ছিলেন রংপুরকে। অর্ধশত করে রংপুরের আশা হয়ে থাকা এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে (৫৬) ফিরিয়ে খুলনাকে স্বস্তি দেন মেহেদি। পরে আরিফুলকেও ফেরান তিনি শেষ জুটিতে দুই বোলার সাদ্দাম ও সঞ্জিত আবারও হুমকি হয়ে উঠেছিলেন খুলনার জন্য। কিন্তু নিজের প্রথম ওভারেই সাদ্দামকে ফিরিয়ে রংপুরকে গুটিয়ে দেন জিয়াউর রহমান, খুলনা জেতে ১৩ রানে। দুই ড্র আর এক জয়ে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্তরের শীর্ষেই থাকল খুলনা। ৩ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর।