একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল থেকে স্পিকার নির্বাচিত হলেও সংসদ পরিচালনার ক্ষেত্রে স্পিকার নিরপেক্ষ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং সিপিএ’র চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সোমবার বিকেলে ‘দি রোল অব দি প্রিজাইডিং অফিসার অ্যান্ড দি স্টাফ অব পার্লামেন্ট’ শীর্ষক তৃতীয় সেশনে রিসোর্স পারসন হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং জ্যামাইকা পার্লমেন্টের ডেপুটি ক্লার্ক ভ্যালরি কার্টিস অংশগ্রহণ করেন। সোয়াজিল্যান্ডের সংসদ সদস্য ও সিপিএ সেক্রেটারিয়েটের প্রতিনিধি মারউইক টি. খুমালো এই সেশনে সভাপতিত্ব করেন।
সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সিপিএ’র ২৬তম বার্ষিক পার্লামেন্টারি সেমিনার উদ্বোধন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সেমিনারে বাংলাদেশ ছাড়াও ১৭টি দেশের ২৬টি শাখার মোট ৩৫ জন পার্লামেনটারিয়ান ও প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন।
সংসদে স্পিকারের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সংবিধান ও কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী স্পিকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে থাকেন। সংসদে স্পিকার সকল সংসদ সদস্যের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে থাকেন। সংসদ পরিচালনার জন্য স্পিকারকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। সংসদে যে কোনো বিষয়ে বিতর্ক উত্থাপিত হলে অথবা বৈধতার প্রশ্ন উত্থাপিত হলে কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী স্পিকার রুলিং প্রদানপূর্বক বিষয়টির নিষ্পত্তি করে থাকেন।’
সেশনে সংসদীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালীকরণ, সংসদের সার্বভৌমত্ব, সংসদীয় প্রক্রিয়া, সংসদের মর্যাদা, আন্তসংসদীয় সম্পর্কের উন্নয়ন, সংসদীয় কার্যক্রমে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার, সংসদীয় আচরণবিধি এবং সংসদীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালীকরণের বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
স্পিকার শিরীন শারমিন বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশীল আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে সংসদীয় নীতি-নৈতিকতার আলোকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।