ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোর হতেই কুয়াশা ভেদ করে ফসলের মাঠে ছুটে যান কৃষকেরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:১০:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ অক্টোবর ২০১৮
  • ৫৭৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীত আসতে এখনো ঢের বাকি। তবুও ভোরের দিকে কুয়াশা ঘেরা থাকে গ্রামের পথঘাট। দিনভর রোদের তাপ থাকলেও সকালের চিত্রটা একটু অন্যরকম। এ সময় অনুভূত হয় মৃদু শীত। ভোর হতেই কুয়াশা ভেদ করে ফসলের মাঠে ছুটে যান কৃষকেরা।

মৃদু শীতের এ সময়টাতেই জমিতে চাষ, পানি দেওয়া, আগাছা পরিষ্কার করা, চারা রোপনের মাধ্যমে জমি তৈরি করার মাধ্যমে শীতকালীন সবজি প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন খুলনাঞ্চলের কৃষকেরা। শীত শুরুর আগেই আগাম এসব সবজি চাষে লাভের আশা করছেন তারা।

খুলনার অধিকাংশ উপজেলা ঘুরে এমনই চিত্র দেখা যায়। শীতকালীন আগাম সবজি টমেটো, শিম, ফুল কপি, বাধা কপি, ওল কপি, মূলা, খিরাই, ঢেঁড়স, বেগুন, কুমড়া, পালং শাক, লাল শাক, মুলা শাক, পুই শাক, বিট, নতুন আলু চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। অনেকে এরই মধ্যে ফসল ফলিয়ে বাজারেও পাঠাচ্ছেন।

খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘গত বছর শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৫৬০ হেক্টর (১ হেক্টর=২.৪৭ একর) জমি। এ বছর চাষকৃত জমির লক্ষ্যমাত্রার পরিমাণ আরো বাড়বে। জেলার চাহিদা মেটানোর পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খুলনায় উৎপাদিত সবজি যাবে।’

ডুমুরিয়া উপজেলার কৃষক নীতিশ রায় সাংবাদিককে বলেন, ‘আগাম সব সবজির চাহিদা বাজারে প্রচুর। এখন বাজারে সবজির দাম মোটামুটি ভালো, তাই লাভও বেশি হয়। দেশের সব জায়গা থেকে পাইকাররা এখানে আসে সবজি নিতে, এখানকার খুচরা ব্যবসায়ীরাও আসে।’ তাছাড়া শীত আসতে আসতে আরো ভালো ফলন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন নীতিশ রায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনার নয়টি উপজেলায় আগাম শীতকালীন সবজির চাষ করে ইতোমধ্যেই লাভবান হচ্ছেন অনেক চাষিরা। এর মধ্যে ডুমুরিয়ায় সব থেকে বেশি সবজি চাষ হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ভোর হতেই কুয়াশা ভেদ করে ফসলের মাঠে ছুটে যান কৃষকেরা

আপডেট টাইম : ০৫:১০:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ অক্টোবর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীত আসতে এখনো ঢের বাকি। তবুও ভোরের দিকে কুয়াশা ঘেরা থাকে গ্রামের পথঘাট। দিনভর রোদের তাপ থাকলেও সকালের চিত্রটা একটু অন্যরকম। এ সময় অনুভূত হয় মৃদু শীত। ভোর হতেই কুয়াশা ভেদ করে ফসলের মাঠে ছুটে যান কৃষকেরা।

মৃদু শীতের এ সময়টাতেই জমিতে চাষ, পানি দেওয়া, আগাছা পরিষ্কার করা, চারা রোপনের মাধ্যমে জমি তৈরি করার মাধ্যমে শীতকালীন সবজি প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন খুলনাঞ্চলের কৃষকেরা। শীত শুরুর আগেই আগাম এসব সবজি চাষে লাভের আশা করছেন তারা।

খুলনার অধিকাংশ উপজেলা ঘুরে এমনই চিত্র দেখা যায়। শীতকালীন আগাম সবজি টমেটো, শিম, ফুল কপি, বাধা কপি, ওল কপি, মূলা, খিরাই, ঢেঁড়স, বেগুন, কুমড়া, পালং শাক, লাল শাক, মুলা শাক, পুই শাক, বিট, নতুন আলু চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। অনেকে এরই মধ্যে ফসল ফলিয়ে বাজারেও পাঠাচ্ছেন।

খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘গত বছর শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৫৬০ হেক্টর (১ হেক্টর=২.৪৭ একর) জমি। এ বছর চাষকৃত জমির লক্ষ্যমাত্রার পরিমাণ আরো বাড়বে। জেলার চাহিদা মেটানোর পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খুলনায় উৎপাদিত সবজি যাবে।’

ডুমুরিয়া উপজেলার কৃষক নীতিশ রায় সাংবাদিককে বলেন, ‘আগাম সব সবজির চাহিদা বাজারে প্রচুর। এখন বাজারে সবজির দাম মোটামুটি ভালো, তাই লাভও বেশি হয়। দেশের সব জায়গা থেকে পাইকাররা এখানে আসে সবজি নিতে, এখানকার খুচরা ব্যবসায়ীরাও আসে।’ তাছাড়া শীত আসতে আসতে আরো ভালো ফলন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন নীতিশ রায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনার নয়টি উপজেলায় আগাম শীতকালীন সবজির চাষ করে ইতোমধ্যেই লাভবান হচ্ছেন অনেক চাষিরা। এর মধ্যে ডুমুরিয়ায় সব থেকে বেশি সবজি চাষ হয়।