ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ব্যাপকভাবে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন হয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশর (টিআইবি) এক প্রতিবেদনে সোমবার একথা বলা হয়েছে। প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে সংস্থাটি দাবি করে।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক, ড. ইফতেখারুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, নির্বাচনে সমর্থন লাভ এবং প্রচার প্রচারণার জন্য অর্থব্যয়- এই দুই ক্ষেত্রেই অনিয়ম হয়েছে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে নির্বাচনে সমর্থন লাভের জন্য অর্থ লেনদেনের বিরাট কোন অভিযোগ না থাকলেও চট্টগ্রামে এ সংক্রান্ত বহু নজির রয়েছে বলে জানাচ্ছেন মি. জামান।
সেখানে দলের সমর্থন, দলের প্রভাবশালী নেতাদের সমর্থন আদায় এবং প্রতিপক্ষের প্রভাবশালী নেতাদের নিউট্রালাইজ করতে বিরাট অংকের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে টিআইবির গবেষণায় উঠে এসেছে। চট্টগ্রামে একেকজন কাউন্সিলর প্রার্থী গড়ে তেইশ লাখ এবং ঢাকায় গড়ে ষোল লাখ টাকা করে ব্যয় করেছেন। এছাড়া নির্বাচনী প্রচারণার জন্য যে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের সীমা রয়েছে, সেটা প্রায় কোন প্রার্থীই মানেননি।
ঢাকার নয়জন মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে মাত্র একজন নির্ধারিত অর্থ সীমার মধ্যে ব্যয় করেছেন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে নির্ধারিত সীমার চেয়ে এগারোগুণ বেশি অর্থ নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যয় করা হয়েছে।
এছাড়া, কাউন্সিলর পর্যায়েও এ সংক্রান্ত ব্যাপক অনিয়ম ঘটেছে। চট্টগ্রামে একেকজন কাউন্সিলর প্রার্থী গড়ে ২৩ লাখ টাকা এবং ঢাকায় গড়ে ১৬ লাখ টাকা করে ব্যয় করেছেন।
এছাড়া নির্বাচন কমিশনও অনিয়ম করেছে। তারা আইনানুগভাবে অনিয়মের বিরুদ্ধে যেসব ব্যবস্থা নিতে পারতো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটি না করে তারা সরকার সমর্থিত প্রার্থীদের প্রতি নমনীয় আচরণ করেছে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে। -বিবিসি বাংলা