হাওর বার্তা ডেস্কঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে যাত্রীবাহী নৈশকোচের সঙ্গে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা টাক্টরের সংঘর্ষে শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন রাইচমিল এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দরবার সাউদিয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী নৈশকোচ গাইবান্ধা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত সোয়া ১২টার দিকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সময় বাসটি রাইচ মিল এলাকায় পৌঁছালে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি টাক্টরের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি সড়কের পাশে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এক পর্যায়ে খুঁটি হেলে গেলে বাসটি উল্টে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর শিশুসহ দুইজন নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। বাস ও ট্রাক্টরের চালক এবং তাদের সহকারীরা পলাতক।
পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন বাসের যাত্রী সালমা বেগম জানান, বাসে সাঘাটা, সদর ও সাদুল্যাপুরের যাত্রীরা ছিল। বাসের অধিকাংশ যাত্রীই শ্রমিক। ঈদের ছুটি শেষে তারা ঢাকায় ফিরছিলেন। বৃষ্টির সময় চালক দ্রুতগতিতে বাস চালাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই জোরে শব্দের পর বাস উল্টে যায়। এরপর আর কিছুই জানেন না তিনি।
পলাশবাড়ী থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান মুঠোফোনে দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের লাশ গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনায় কবলিত কোচ ও ট্রাক্টরটি উদ্ধার করা হয়েছে।