হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বাড়তে পারে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে বেতন বাড়ানো হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বর্ধিত বেতন সমন্বয় করতে বাজেটে অতিরিক্ত পাঁচ হাজার ৩০২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা খাতে মোট ৫৮ হাজার ৫১২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ খাতে গত অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৫৩ হাজার ২১০ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছিলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা প্রতি বছর সাধারণ নিয়মে পাঁচ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পাচ্ছেন। এর বাইরে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে বেতন বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি নিয়ে কাজ চলছে।
তিনি বলেন, চাকরিজীবীদের স্বল্প সুদে গৃহ নির্মাণ ঋণ দেয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এটিও খুব তাড়াতাড়ি পাবেন তারা।
জানা গেছে, চাকরিজীবীদের বেতন বাড়াতে পে-কমিশন গঠন না করে সরকার প্রতি বছর মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য সরকার একটি কমিটি গঠন করে দেয়। এই মুহূর্তে বেতন কি পরিমাণ বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে যৌক্তিকতা তুলে ধরে কমিটি ইতিমধ্যে অর্থমন্ত্রীকে প্রতিবেদন দিয়েছে।
পাঁচ শতাংশ মূল্যস্ফীতির ভিত্তি ধরে কমিটি হিসাব করেছে। গড় মূল্যস্ফীতি পাঁচ শতাংশ ছাড়ালে বেতন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়বে। মূল্যস্ফীতি যদি আরও বাড়ে অর্থাৎ ৬ শতাংশ বা ৭ শতাংশ হয়, তখন কত শতাংশ বেতন বাড়বে তাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে কমিটি। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ হয়েছে। তাই এ প্রতিবেদনে কমিটি বার্ষিক পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের সুপারিশ করেছে। প্রতি পাঁচ বছর পর পর পে-কমিশন গঠন না করে এর বিকল্প ভাবার সুপারিশ করেছে কমিটি।
বিকল্প হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি স্থায়ী সেল গঠন করতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বেতন বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। চাকরিজীবীরা যাতে সন্তুষ্ট হন সেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ কারণে প্রস্তাবটি যোজন-বিয়োজন করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।