ঢাকা ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নৌভ্রমণ বুড়িগঙ্গা নদীতে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫২:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৮
  • ৩৯৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যান্ত্রিক জীবন থেকে একটু ছুটি মিললেই সবাই পরিবারসহ শিশুপার্ক, পার্ক, জাদুঘরসহ নানা জায়গা ঘুরতে যান। এবারের আসছে ছুটিতে না হয় একটু ঢেউয়ের তালে তালে পানিতে ঘুরলেন। মানে নৌকায় করে ঘোরার কথা বলছি। নদীর তীরেই গড়ে ওঠে সভ্যতা। জীবনের শুরু যেমন পানি থেকে সভ্যতার শুরু তেমনি নদী থেকে। আজকের শহর ও সভ্যতা নদী থেকে হয়তো অনেক দূরে সরে গেছে। কিন্তু তার শুরুটা ছিল নদীকে ঘিরেই। পৃথিবীর সব আদি শহর ও সভ্যতার সূচনা নদীর তীরে। তাই আপনি চাইলে ঈদের ছুটিতে বুড়িগঙ্গা নদীতে ঘুরে আসতে পারেন।

রিজার্ভ নৌকা নিয়ে ঘন্টাপ্রতি ভাড়ায় ঘুরতে পারেন। জিঞ্জিরা ফেরিঘাটে গিয়ে মালাই চা খেতে পারেন। সোয়ারিঘাট থেকে ছোট লঞ্চে খোলামোড়ার ৪০ মিনিটের নৌভ্রমণ খুব ভালো লাগবে। খোলামোড়া লঞ্চ ঘাটে গিয়ে রাজলক্ষীর দই-মিষ্টি খেতে পারেন। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জের আমিরাবাগের সালাম বাবুর্চির খুদের ভাগা খাওয়া যায়। তো বন্ধুরা আসছে ছুটির দিনগুলোতে বেড়িয়ে পড়ুন নৌভ্রমণে আপনার একদম কাছের দূরত্বে বুড়িগঙ্গা নদীতে।

খ্রিস্টীয়য় ৭ম শতক থেকে ঢাকায় জনবসতির শুরু। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে ঢাকা বিভিন্ন শাসকের অধীনে ছিল। কখনো রাজত্ব করেছে বৌদ্ধ রাজারা, কখনো সেন, তুর্কি ও আফগানরা। মুঘলরা ঢাকায় আসে ১৬০৮ সালে। এরপর ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি শাসনের পথ ধরে আরো ২২৪ বছর। পুরোনোকে পেছনে ফেলে গড়ে উঠেছে এক নতুন ঢাকা। আজকের ঢাকা আরো প্রসারিত ও বিস্তৃত। বুড়িগঙ্গাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে প্রাচীন ঢাকা। আজকের যে ঢাকার শুরু তাও বুড়িগঙ্গার তীরে, বুড়িগঙ্গার জন্য। বুড়িগঙ্গার জন্যই ঢাকার এত গুরুত্ব। ঢাকার জীবনে বুড়িগঙ্গা আজও অপরিহার্য।

বুড়িগঙ্গায় নৌকায় করে ঘোরার সময় দেখতে পারবেন পো পো শব্দে লঞ্চ ঘাটে ভিড়ছে, কোনোটা ছেড়ে যাচ্ছে। কোথাও আবার ঢেউয়ের তালে তালে নৌকাগুলো দোল খাচ্ছে। আবার চোখের পলকে শাঁই শাঁই ছেড়ে যাচ্ছে স্পিডবোটগুলো। এখানে ঘণ্টা হিসেবে নৌকা ভাড়া দেওয়া হয়। প্রতি ঘণ্টা নৌকাভ্রমণে ভাড়া পড়বে ২০০-৩০০ টাকা। ২৫-৩০ জনের বেলায় ট্রলার ভাড়া নিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে গুনতে হবে ১৫০০-২০০০ টাকা। তবে নির্দিষ্ট গন্তব্য ছাড়া স্পিডবোটে চড়ার সুযোগ নেই এখানে। সুযোগ পেলে আপনি উঠে পড়তে পারেন দূর পাল্লার বড় বড় লঞ্চসমূহে। সেখানে পেয়ে যাবেন লঞ্চের রান্না করা মুখরোচক খাবার। বুড়িগঙ্গায় নৌকায় ঘোরার সময় খেয়াল করতে হবে লঞ্চ বা অন্য নৌযান কোথায় কোথায় চলাচল করছে। সেসব জায়গা এড়িয়ে চলাচল করা ভালো। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তবেই নৌকায় ভ্রমণ করুন।

সূত্রঃ এন টিভি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

নৌভ্রমণ বুড়িগঙ্গা নদীতে

আপডেট টাইম : ০৬:৫২:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যান্ত্রিক জীবন থেকে একটু ছুটি মিললেই সবাই পরিবারসহ শিশুপার্ক, পার্ক, জাদুঘরসহ নানা জায়গা ঘুরতে যান। এবারের আসছে ছুটিতে না হয় একটু ঢেউয়ের তালে তালে পানিতে ঘুরলেন। মানে নৌকায় করে ঘোরার কথা বলছি। নদীর তীরেই গড়ে ওঠে সভ্যতা। জীবনের শুরু যেমন পানি থেকে সভ্যতার শুরু তেমনি নদী থেকে। আজকের শহর ও সভ্যতা নদী থেকে হয়তো অনেক দূরে সরে গেছে। কিন্তু তার শুরুটা ছিল নদীকে ঘিরেই। পৃথিবীর সব আদি শহর ও সভ্যতার সূচনা নদীর তীরে। তাই আপনি চাইলে ঈদের ছুটিতে বুড়িগঙ্গা নদীতে ঘুরে আসতে পারেন।

রিজার্ভ নৌকা নিয়ে ঘন্টাপ্রতি ভাড়ায় ঘুরতে পারেন। জিঞ্জিরা ফেরিঘাটে গিয়ে মালাই চা খেতে পারেন। সোয়ারিঘাট থেকে ছোট লঞ্চে খোলামোড়ার ৪০ মিনিটের নৌভ্রমণ খুব ভালো লাগবে। খোলামোড়া লঞ্চ ঘাটে গিয়ে রাজলক্ষীর দই-মিষ্টি খেতে পারেন। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জের আমিরাবাগের সালাম বাবুর্চির খুদের ভাগা খাওয়া যায়। তো বন্ধুরা আসছে ছুটির দিনগুলোতে বেড়িয়ে পড়ুন নৌভ্রমণে আপনার একদম কাছের দূরত্বে বুড়িগঙ্গা নদীতে।

খ্রিস্টীয়য় ৭ম শতক থেকে ঢাকায় জনবসতির শুরু। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে ঢাকা বিভিন্ন শাসকের অধীনে ছিল। কখনো রাজত্ব করেছে বৌদ্ধ রাজারা, কখনো সেন, তুর্কি ও আফগানরা। মুঘলরা ঢাকায় আসে ১৬০৮ সালে। এরপর ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি শাসনের পথ ধরে আরো ২২৪ বছর। পুরোনোকে পেছনে ফেলে গড়ে উঠেছে এক নতুন ঢাকা। আজকের ঢাকা আরো প্রসারিত ও বিস্তৃত। বুড়িগঙ্গাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে প্রাচীন ঢাকা। আজকের যে ঢাকার শুরু তাও বুড়িগঙ্গার তীরে, বুড়িগঙ্গার জন্য। বুড়িগঙ্গার জন্যই ঢাকার এত গুরুত্ব। ঢাকার জীবনে বুড়িগঙ্গা আজও অপরিহার্য।

বুড়িগঙ্গায় নৌকায় করে ঘোরার সময় দেখতে পারবেন পো পো শব্দে লঞ্চ ঘাটে ভিড়ছে, কোনোটা ছেড়ে যাচ্ছে। কোথাও আবার ঢেউয়ের তালে তালে নৌকাগুলো দোল খাচ্ছে। আবার চোখের পলকে শাঁই শাঁই ছেড়ে যাচ্ছে স্পিডবোটগুলো। এখানে ঘণ্টা হিসেবে নৌকা ভাড়া দেওয়া হয়। প্রতি ঘণ্টা নৌকাভ্রমণে ভাড়া পড়বে ২০০-৩০০ টাকা। ২৫-৩০ জনের বেলায় ট্রলার ভাড়া নিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে গুনতে হবে ১৫০০-২০০০ টাকা। তবে নির্দিষ্ট গন্তব্য ছাড়া স্পিডবোটে চড়ার সুযোগ নেই এখানে। সুযোগ পেলে আপনি উঠে পড়তে পারেন দূর পাল্লার বড় বড় লঞ্চসমূহে। সেখানে পেয়ে যাবেন লঞ্চের রান্না করা মুখরোচক খাবার। বুড়িগঙ্গায় নৌকায় ঘোরার সময় খেয়াল করতে হবে লঞ্চ বা অন্য নৌযান কোথায় কোথায় চলাচল করছে। সেসব জায়গা এড়িয়ে চলাচল করা ভালো। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তবেই নৌকায় ভ্রমণ করুন।

সূত্রঃ এন টিভি