হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন–এমপিও এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপিটি প্রদান করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন-ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার, সাধারণ সম্পাদক ড. বিনয় ভূষণ রায়, সিনিয়র সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আশ্রাফুল হক লাভলু।
শুক্রবার সকালে এই পাঁচ সদস্য জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদানে রওনা দেন বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছন ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক নাসির উদ্দিন।
গত ১০ জুন থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
স্মারকলিপির বিষয়ে ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৫ থেকে ২০ বছর যাবৎ ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পাঠদান করে শিক্ষক-কর্মচারীরা অত্যন্ত কষ্টকর ও মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনেকের চাকরির মেয়াদ আছে ৫-১০ বছর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সারাদেশে উন্নয়নবঞ্চিত অবস্থায় জীবনযাপন করছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১২ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ করতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ জারি করা হয়েছে। এই নীতিমালা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঠদান অনুমতি ও স্বীকৃতির সময় আরোপিত শর্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। চলতি ২০১৮-১৯ বাজেটে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দের কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা নেই। যার ফলে নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারীরা অত্যন্ত হতাশ ও আশাহত হয়ে পড়েছেন।