এর আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও নিয়োগ না পাওয়ায় ২৩১ জনের পক্ষে রাজশাহীর আব্দুল ওয়াহাব রিট দায়ের করেন। এরপর ৯ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাদেরকে নিয়োগ দিতে রুল জারি করেন। আজ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২৩১ জন প্রার্থীকে স্ব স্ব জেলা রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, টাঙ্গাইল, যশোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝিনাইদহ, বগুড়া, জয়পুরহাটে নিয়োগের আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ১১ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলে এক সার্কুলার (বিজ্ঞপ্তি) প্রকাশ করেন। পরে এসব রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বিজ্ঞপ্তির তিন নম্বর ক্রমিকে উল্লেখ করা হয় রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরকে নিয়ে উপজেলায় একটি প্যানেল গঠন করা হবে। কিন্তু ২০১২ সালের ২১ মার্চ রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ পায়।
ফলাফল প্রকাশ পাওয়ার পর শর্ত পূরণ না করে উত্তীর্ণ ১০ হাজার শিক্ষককে নিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ইনউনিয়নভিত্তিক প্যানেল গঠন করে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। যার ফলে উপজেলাভিত্তিক প্যানেল গঠন করার জন্য যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল তার মধ্যে থেকে তারা নিয়োগ বাদ পড়েন। ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থীরা হাইকোর্টে আসেন।