হাওর বার্তা ডেস্কঃ কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার কৃষি ভিত্তিক শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ বিলে শতকরা ২০ ভাগ হারে রিবেট প্রদান করেছে। ডাল, তেল, মসলা ও ভুট্টাসহ ২৪টি ফসল উৎপাদনে সরকার মাত্র ৪ শতাংশ সুদে কৃষি ঋণ প্রদান করেছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া কৃষি পণ্য রপ্তানিতে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য সরকার ২০ শতাংশ হারে ইনসেনটিভ প্রদান করছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনে আজ টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মহিলা এমপি আমিনা আহমেদের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, ফলে চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৩৮ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হয়েছে। চাল, গম ও ভুট্টাসহ মোট কৃষি উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৩৮৬ লাখ মেট্রিক টন ফসল। এরমধ্যে রয়েছে ১৩ লাখ মেট্রিক টন গম ও ৩৫ লাখ মেট্রিক টন ভুট্টা।
কৃষিতে ভর্তুকি ৭০ শতাংশ
ইফতিখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর (নেত্রকোণা-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জানান, হাওড় এলাকায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকীতে এবং অন্যান্য এলাকায় ৫০ শতাংশ ভর্তুকীতে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হচ্ছে।
সেচের আওতায় ৮৭ শতাংশ জমি
সালমা ইসলামের (ঢাকা-১) লিখিত প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে সারাদেশে মোট আবাদযোগ্য কৃষি জমির পরিমাণ ৮৫ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫৬ হেক্টর, মোট সেচকৃত জমির পরিমাণ ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার ১০০ হেক্টর। অর্থাৎ সেচেরে আওতায় জমির পরিমাণ শতকরা প্রায় ৮৭ শতাংশ, বাকি ১৩ শতাংশ জমি সেচের আওতার বাইরে আছে। সেচের আওতার বাহিরের কৃষিজমি সমূহ সেচের আওতায় আনার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন জায়গায়- রাবার ড্যাম, ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণাগার স্থাপন, সেচ যন্ত্রপাতি সহজাতলভ্যকরণ ইত্যাদির মাধ্যমে সেচের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
দুই কোটি পাঁচ লাখ চুয়াল্লিশ হাজার কৃষি উপকরণ কার্ড বিতরণ
মহিলা এমপি ফিরোজা বেগম চিনুর লিখিত প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী বলেন, কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য দুই কোটি পাঁচ লাখ চুয়াল্লিশ হাজার ২০৮টি কৃষি উপকরণ কার্ড বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ১ কোটি ৯১ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৭ টি পেয়েছেন কৃষক ও কৃষাণীর মাঝে বিতরণ করা হয় ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৬৪১ টি কৃষি উপকরণ কার্ড । এই কৃষি উপকরণ কার্ডের মাধ্যমে কৃষকরা ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগ পায়। দেশে এখন এই একাউন্টের সংখ্যা ৯২ লাখ ৩৭ হাজার ৯৯০টি। তিনি আরো জানান, কৃষকরা এখন সরকারের ভতুর্কির ফলে ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সারের বাজার মূল্য কেজি প্রতি যথাক্রমে ১৬ টাকা, ২২ টাকা, ১৫ টাকা এবং ২৫ টাকা।