ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার আপাতত উদ্যোগ নেই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:১৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জুন ২০১৮
  • ৪৫৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ হতে বাড়িয়ে ৩৫  করার কোনো উদ্যোগ আপাতত সরকারের নেই। আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য সেলিনা বেগমের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন। পুর্বে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখ্যযোগ্য সেশনজট নেই বললেই চলে।

ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরের এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকে। সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর বিধায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২/১ বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।

তিনি বলেন, বর্তমানে চাকরি হতে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ বছর হতে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই হ্রাস পেয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি কর হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে যার ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকতর প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে।

এতে করে যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের উপর তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। বর্ণিত প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ হতে বৃদ্ধি করে ৩৫ বছর করার কোনো উদ্যোগ আপতত সরকারের নেই।

সূত্রঃ আমার সংবাদ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার আপাতত উদ্যোগ নেই

আপডেট টাইম : ০৩:১৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জুন ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ হতে বাড়িয়ে ৩৫  করার কোনো উদ্যোগ আপাতত সরকারের নেই। আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য সেলিনা বেগমের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন। পুর্বে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখ্যযোগ্য সেশনজট নেই বললেই চলে।

ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরের এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকে। সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর বিধায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২/১ বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।

তিনি বলেন, বর্তমানে চাকরি হতে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ বছর হতে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই হ্রাস পেয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি কর হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে যার ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকতর প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে।

এতে করে যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের উপর তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। বর্ণিত প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ হতে বৃদ্ধি করে ৩৫ বছর করার কোনো উদ্যোগ আপতত সরকারের নেই।

সূত্রঃ আমার সংবাদ