হাওর বার্তা ডেস্কঃ লক্ষীপুরে বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান কাটা ও ঘরে তোলা প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখি হাসি থাকলেও ধানের ন্যায্য মূল্যে পাচ্ছে না কৃষকরা। জেলা কৃষি বিভাগ বলেছেন, উৎপাদন খরচের বিষয়টি চিন্তা করেই ধানের ন্যায্য মূল্যে নির্ধারন করা হবে।
জেলা কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার ৫ টি উপজেলায় ২৮ হাজার ১শ’ ৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাধ হয়েছে। গত কয়েক বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে জেলার কৃষকরা এবার অধিক হারে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এবার ৩ হাজার ৪শ’ ৭৬ হেক্টর জমিতে বোর আবাদ বেশি হয়েছে। নিবিড় পরিচর্যা, সময়মত সেচ, পোকামাকড়ের আক্রমন কম ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষক সোহেল হোসেন বলেন, ধানে পোকামাকড় তেমন আক্রমন না করায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। কয়েক দফা কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টি হলেও আধা কাঁচা-পাকা ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি।
জেলার অন্য এক কৃষক সোহাগ বলেন, এবার আগাম জাতের ধান আবাদ করায় মৌসুমের শুরুতেই ধান কাটতে পারায় অনেকটা স্বস্তি পাচ্ছি। শ্রমিকের মজুরি একটু বেশী হলেও নিশ্চিন্তে ধান ঘরে তুলছেন। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনে খুশি হলেও ন্যায্য মূল্যে পাচ্ছে না কৃষকরা।
জেলা কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. বেলাল খান বলেন, জেলার প্রত্যেক উপজেলায় ধান কাটা প্রায় শেষ হয়েছে। এবারের ফলনে কৃষকরা তাদের পূর্বের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। তিনি আরো বলেন, ধানের ন্যায্য মূল্যে নিয়ে চিন্তত হওয়ার কিছু নেই। উৎপাদন খরচের কথা চিন্তা করেই ধানের ন্যায্য মূল্যে দেয়া হবে।