ঢাকা ০১:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সালমান আমাকে পিচ্চি বলে ডাকতো : শাবনূর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • ৪৮২ বার

তুমি আমার’ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে সালমানের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়। যদিও দেখা হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু চেনাজানাটা ভালোভাবে হয়েছে ‘তুমি আমার’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময়। এর আগে তো সালমান অভিনয় করতো মৌসুমী আপুর সঙ্গে। প্রথম দেখার অনুভূতির কথা যদি জানতে চান তাহলে বলবো, আমি তখন ছোট ছিলাম। সবকিছুই খেলার ছলে দেখেছি। সালমান আমার খুবই প্রিয় ছিলো। কারণও ছিল একটা। আমি বহুবার এই কথাটা বলেছি যে, সালমান আমাকে পিচ্চি বলে ডাকতো। ও বলতো, ‘আমার তো কোনও বোন নেই, এই পিচ্চি তুই আমার বোন হবি? তুই আমার ছোটবোন।’

সালমানের মতো বড় মাপের মানুষ আমি অনেক কমই দেখেছি। আর সহশিল্পী হিসেবে ও ছিলো এক কথায় অসাধারণ। এমনও অনেকদিন গেছে যখন আমার কোনও জায়গায় ভুল হচ্ছে, ও তখন বলে দিত। নাচ করার ক্ষেত্রেও একই রকম হতো। ওর সঙ্গে পেরে উঠে পারতাম না।

মাঝে মাঝে ভাবি সালমান যদি বেঁচে থাকতো তাহলে আমাদের জুটিটাও উত্তম-সুচিত্রার মতো হতো। কারণ আমাদের বোঝাপড়াটা অনেক ভাল ছিলো। আমাদের জুটিটাও দর্শক গ্রহণ করেছিলো। আর সালমান অনেকটা ন্যাচারাল অভিনয় করতো। ও কীভাবে সংলাপ ডেলিভারি দিচ্ছে তা আমি খেয়াল করতাম। সেটা নিয়ে ভাবতাম। বলতে পারেন ওকে দেখে দেখেই আমি ম্যাচিউরড হয়েছি।

শ্যুটিংয়ের মাঝে আমি আর সালমান প্রচুর দুষ্টামি করতাম। ও অনেক মজার মানুষ ছিল। মজা করতে করতে কীভাবে যে শ্যুটিং শেষ হয়ে যেতো, টেরই পেতাম না। আর সবার সঙ্গেই ও খুব বন্ধুভাবাপন্ন ছিল।

আরেকটা কথা বলতে চাই, সেটা হচ্ছে সবাই কিন্তু সালমানের মৃত্যুর জন্য সামিরাকে দোষে। এটা কিন্তু ঠিক না। সামিরা অনেক ভাল মানুষ ছিল। ওর সঙ্গে আমারও বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। আমরা সবাই মিলে প্রচুর আড্ডা দিতাম।

সবশেষ বলবো, সালমান তুমি আমাদেরকে ঠকিয়ে এভাবে পরপারে চলে যাবে তা কখনওই ভাবিনি। একবার বলারও প্রয়োজন মনে করলে না!

ভালো থেকো। জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিও।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সালমান আমাকে পিচ্চি বলে ডাকতো : শাবনূর

আপডেট টাইম : ১০:৫৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

তুমি আমার’ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে সালমানের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়। যদিও দেখা হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু চেনাজানাটা ভালোভাবে হয়েছে ‘তুমি আমার’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময়। এর আগে তো সালমান অভিনয় করতো মৌসুমী আপুর সঙ্গে। প্রথম দেখার অনুভূতির কথা যদি জানতে চান তাহলে বলবো, আমি তখন ছোট ছিলাম। সবকিছুই খেলার ছলে দেখেছি। সালমান আমার খুবই প্রিয় ছিলো। কারণও ছিল একটা। আমি বহুবার এই কথাটা বলেছি যে, সালমান আমাকে পিচ্চি বলে ডাকতো। ও বলতো, ‘আমার তো কোনও বোন নেই, এই পিচ্চি তুই আমার বোন হবি? তুই আমার ছোটবোন।’

সালমানের মতো বড় মাপের মানুষ আমি অনেক কমই দেখেছি। আর সহশিল্পী হিসেবে ও ছিলো এক কথায় অসাধারণ। এমনও অনেকদিন গেছে যখন আমার কোনও জায়গায় ভুল হচ্ছে, ও তখন বলে দিত। নাচ করার ক্ষেত্রেও একই রকম হতো। ওর সঙ্গে পেরে উঠে পারতাম না।

মাঝে মাঝে ভাবি সালমান যদি বেঁচে থাকতো তাহলে আমাদের জুটিটাও উত্তম-সুচিত্রার মতো হতো। কারণ আমাদের বোঝাপড়াটা অনেক ভাল ছিলো। আমাদের জুটিটাও দর্শক গ্রহণ করেছিলো। আর সালমান অনেকটা ন্যাচারাল অভিনয় করতো। ও কীভাবে সংলাপ ডেলিভারি দিচ্ছে তা আমি খেয়াল করতাম। সেটা নিয়ে ভাবতাম। বলতে পারেন ওকে দেখে দেখেই আমি ম্যাচিউরড হয়েছি।

শ্যুটিংয়ের মাঝে আমি আর সালমান প্রচুর দুষ্টামি করতাম। ও অনেক মজার মানুষ ছিল। মজা করতে করতে কীভাবে যে শ্যুটিং শেষ হয়ে যেতো, টেরই পেতাম না। আর সবার সঙ্গেই ও খুব বন্ধুভাবাপন্ন ছিল।

আরেকটা কথা বলতে চাই, সেটা হচ্ছে সবাই কিন্তু সালমানের মৃত্যুর জন্য সামিরাকে দোষে। এটা কিন্তু ঠিক না। সামিরা অনেক ভাল মানুষ ছিল। ওর সঙ্গে আমারও বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। আমরা সবাই মিলে প্রচুর আড্ডা দিতাম।

সবশেষ বলবো, সালমান তুমি আমাদেরকে ঠকিয়ে এভাবে পরপারে চলে যাবে তা কখনওই ভাবিনি। একবার বলারও প্রয়োজন মনে করলে না!

ভালো থেকো। জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিও।