হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং উন্নয়ন অংশীদার চীন। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
আজ সোমবার ১৩তম ন্যাশনাল কমিটি অব দ্য চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) ভাইস চেয়ারম্যান উয়াং জেং ওয়াইর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্পিকারের কার্যালয়ে আসে। তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় স্পিকার এসব কথা বলেন। এ সময় তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, সংবিধান, সংসদীয় চর্চা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা হয়। এ ছাড়া দু’দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর তারা গুরুত্বারোপ করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে সবসময় সহায়তা করেছে চীন। এ সময় তিনি একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনকে বিনিয়োগের অনুরোধ জানান।
পাটজাত পণ্য, চামড়া, তথ্যপ্রযুক্তি ও কৃষিভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ উপযুক্ত স্থান বলে উল্লেখ করেন শিরীন শারমিন।
শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত তথা জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ২৪ বছর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন করছে। দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়াই তার মূল লক্ষ্য। স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করে বাংলাদেশ নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
রফতানি, বাণিজ্যসহ সব প্রকার বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধির অশাবাদ ব্যক্ত করেন উয়াং জেং ওয়াই। বাংলাদেশে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন তিনি। সেসঙ্গে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীনের অব্যাহত সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।
পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের অর্থসহায়তা চুক্তির কথা উল্লেখ করে উয়াং জেং ওয়াই বলেন, আজ সম্পাদিত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে চীনের সাংহাই ও সেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ কনসোর্টিয়ামের অংশীদায়িত্ব চুক্তি ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে অবদান রাখবে।
সাক্ষাতের সময় সিপিপিসিসির সদস্য (মন্ত্রী মর্যাদা) মি. কিউ ইয়ানপিং, মি. চেন ফং, উপ-পরিচালক (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) মি. ইয়াং জিয়াওবো, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুর রব হাওলাদার এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং ঝু উপস্থিত ছিলেন।