ঢাকা ১০:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে : ডিএমপি কমিশনার বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস ৫ আগস্টের পর ভুয়া মামলা তদন্তসাপেক্ষে প্রত্যাহার হবে, জানালেন নতুন আইজিপি আলেম সমাজের সাথে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক রয়েছে বিএনপির: ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির জুয়ার অ্যাপের প্রচারে নাম লেখালেন বুবলীও জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত’- তোফায়েল আহমেদ আমরা যা করতে চাই, জনগণকে সাথে নিয়ে করতে চাই : তারেক রহমান বহু নেতার শাসন আমরা দেখেছি, পরিবর্তন দেখিনি : ফয়জুল করীম গ্যাসের জন্য আ.লীগ আমলে ২০ কোটি টাকা ঘুস দিয়েছি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

জেনে নিন লবঙ্গ চায়ের ৯টি অসাধারণ উপকারিতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০১:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৮
  • ৩৫১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রাকৃতিক শক্তিতে ভরপুর এই বিশেষ চা-টি শুধু আপনার রসনা তৃপ্তি করবে না, সেই সঙ্গে শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতেও নানাদিক থেকে প্রতিনিয়ত সাহায্য করে যাবে। তাই তো বলি আর অপেক্ষা নয়, আজই বাজার থেকে লবঙ্গ কিনে এনে বানিয়ে ফেলুন এই হার্বাল চাটি। আর চেখে দেখুন কেমন লাগে! আসলে লবঙ্গের শরীরে উপস্থিত ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন কে, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। যেমন ধরুন-

১. সারা শরীরে রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গ চা খাওয়া মাত্র শরীরের ভেতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে দেহের প্রতিটি কোনায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। ফলে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির কর্মক্ষমতা তো বাড়েই, সেই সঙ্গে শরীরের সচলতাও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।

২. রক্তে শর্করার মাত্র নিয়ন্ত্রণে থাকে
গত কয়েক দশকে আমাদের দেশে ডায়াবেটিসের মতো মারণ রোগের প্রকোপ যে হারে বেড়েছে তাতে সবারই প্রতিদিন লবঙ্গ চা খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটির ভেতরে থাকা নাইজেরিসিন নামক একটি উপাদান, শরীরে প্রবেশ করে এমন খেল দেখায় যে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।

৩. আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা কমে
লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ এই ধরনের হাড়ের রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে এক কাপ লবঙ্গ চা বানিয়ে কয়েক ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। তারপর সেই ঠান্ডা চা ব্যথা জায়গায় কম করে ২০ মিনিট লাগালে দেখবেন যন্ত্রণা একেবারে কমে গেছে। প্রসঙ্গত, জয়েন্ট পেন কমানোর পাশাপাশি পেশির ব্যথা এবং ফোলা ভাব কমাতেও এই ঘরোয়া ওষধিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪. দাঁতের ব্যাথা কমায়
লবঙ্গতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু বিক্রিয়া করে যে নিমেষে দাঁতের যন্ত্রণা কমে যায়। তাই তো এবার থেকে দাঁতে অস্বস্তি বা মাড়ি ফোলার মতো ঘটনা ঘটলে এক কাপ গরম গরম লবঙ্গ চা খেয়ে নেবেন। দেখবেন উপকার পাবেন।

৫. ক্যান্সার রোগ দূরে থাকে
একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে, নিয়মিত এক কাপ করে লবঙ্গ দিয়ে বানানো চা খেলে শরীরে ভেতরে অ্যান্টি-ক্যান্সার প্রপাটিজের পরিমাণ এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা কমে। শুধু তাই নয়, শরীরের কোনও জায়গায় টিউমার হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। প্রসঙ্গত, লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৬. সাইনাসের প্রকোপ কমায়
মাঝে মধ্যেই কি সাইনাসের আক্রমণ সহ্য করতে হয়? তাহলে তো বলতে হয় এই প্রবন্ধটি আপনার জন্যই লেখা। কারণ লবঙ্গ যে এই ধরনের সমস্যা দূর করতে কাজে আসতে পারে, সে বিষয়ে কি জানা ছিল? আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির শরীরে উপস্থিত ইগুয়েনাল নামে একটি উপাদান সাইনাসের কষ্ট কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা আজও এই ধরনের অসুখের চিকিৎসায় লবঙ্গের উপরই ভরসা করে থাকেন।

৭. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
লাঞ্চ বা ডিনারের আগে লবঙ্গ দিয়ে বানানো এক কাপ গরম গরম চা খেলে হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে পেটের দিকে রক্ত প্রবাহেরও উন্নতি ঘটে। ফলে খাবার হজম হতে সময় লাগে না। তাই যাদের কম ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খেলেও বদ-হজম হয়, তারা লবঙ্গ চা পান করে একবার দেখতে পারেন। এমনটা করলে উপকার যে মিলবে, তা হলফ করে বলতে পারি।

৮. ত্বকের সংক্রমণ সারাতে কাজে আসে
এবার থেকে কোনও ধরনের ত্বকের সংক্রমণ হলেই চোখ বুজে ক্ষতস্থানে লবঙ্গ চা লাগাতে ভুলবেন না। এমনটা করলে দেখবেন কষ্ট কমতে একেবারে সময়ই লাগবে না। আসলে লবঙ্গে উপস্থিত ভোলাটাইল অয়েল শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে জীবাণুদেরও মেরে ফেলে। ফলে সংক্রমণজনিত কষ্ট কমতে একেবারেই সময় লাগে না।

৯. নিমেষে জ্বরের প্রকোপ কমায়
লবঙ্গে থাকা ভিটামিন কে এবং ই, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে শরীরে উপস্থিত ভাইরাসেরা সব মারা পরে। ফলে ভাইরাল ফিবারের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হয়ে যাওয়ার পর সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন

জেনে নিন লবঙ্গ চায়ের ৯টি অসাধারণ উপকারিতা

আপডেট টাইম : ১০:০১:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রাকৃতিক শক্তিতে ভরপুর এই বিশেষ চা-টি শুধু আপনার রসনা তৃপ্তি করবে না, সেই সঙ্গে শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতেও নানাদিক থেকে প্রতিনিয়ত সাহায্য করে যাবে। তাই তো বলি আর অপেক্ষা নয়, আজই বাজার থেকে লবঙ্গ কিনে এনে বানিয়ে ফেলুন এই হার্বাল চাটি। আর চেখে দেখুন কেমন লাগে! আসলে লবঙ্গের শরীরে উপস্থিত ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন কে, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। যেমন ধরুন-

১. সারা শরীরে রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গ চা খাওয়া মাত্র শরীরের ভেতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে দেহের প্রতিটি কোনায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। ফলে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির কর্মক্ষমতা তো বাড়েই, সেই সঙ্গে শরীরের সচলতাও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।

২. রক্তে শর্করার মাত্র নিয়ন্ত্রণে থাকে
গত কয়েক দশকে আমাদের দেশে ডায়াবেটিসের মতো মারণ রোগের প্রকোপ যে হারে বেড়েছে তাতে সবারই প্রতিদিন লবঙ্গ চা খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটির ভেতরে থাকা নাইজেরিসিন নামক একটি উপাদান, শরীরে প্রবেশ করে এমন খেল দেখায় যে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।

৩. আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা কমে
লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ এই ধরনের হাড়ের রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে এক কাপ লবঙ্গ চা বানিয়ে কয়েক ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। তারপর সেই ঠান্ডা চা ব্যথা জায়গায় কম করে ২০ মিনিট লাগালে দেখবেন যন্ত্রণা একেবারে কমে গেছে। প্রসঙ্গত, জয়েন্ট পেন কমানোর পাশাপাশি পেশির ব্যথা এবং ফোলা ভাব কমাতেও এই ঘরোয়া ওষধিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪. দাঁতের ব্যাথা কমায়
লবঙ্গতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু বিক্রিয়া করে যে নিমেষে দাঁতের যন্ত্রণা কমে যায়। তাই তো এবার থেকে দাঁতে অস্বস্তি বা মাড়ি ফোলার মতো ঘটনা ঘটলে এক কাপ গরম গরম লবঙ্গ চা খেয়ে নেবেন। দেখবেন উপকার পাবেন।

৫. ক্যান্সার রোগ দূরে থাকে
একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে, নিয়মিত এক কাপ করে লবঙ্গ দিয়ে বানানো চা খেলে শরীরে ভেতরে অ্যান্টি-ক্যান্সার প্রপাটিজের পরিমাণ এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা কমে। শুধু তাই নয়, শরীরের কোনও জায়গায় টিউমার হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। প্রসঙ্গত, লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৬. সাইনাসের প্রকোপ কমায়
মাঝে মধ্যেই কি সাইনাসের আক্রমণ সহ্য করতে হয়? তাহলে তো বলতে হয় এই প্রবন্ধটি আপনার জন্যই লেখা। কারণ লবঙ্গ যে এই ধরনের সমস্যা দূর করতে কাজে আসতে পারে, সে বিষয়ে কি জানা ছিল? আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির শরীরে উপস্থিত ইগুয়েনাল নামে একটি উপাদান সাইনাসের কষ্ট কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা আজও এই ধরনের অসুখের চিকিৎসায় লবঙ্গের উপরই ভরসা করে থাকেন।

৭. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
লাঞ্চ বা ডিনারের আগে লবঙ্গ দিয়ে বানানো এক কাপ গরম গরম চা খেলে হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে পেটের দিকে রক্ত প্রবাহেরও উন্নতি ঘটে। ফলে খাবার হজম হতে সময় লাগে না। তাই যাদের কম ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খেলেও বদ-হজম হয়, তারা লবঙ্গ চা পান করে একবার দেখতে পারেন। এমনটা করলে উপকার যে মিলবে, তা হলফ করে বলতে পারি।

৮. ত্বকের সংক্রমণ সারাতে কাজে আসে
এবার থেকে কোনও ধরনের ত্বকের সংক্রমণ হলেই চোখ বুজে ক্ষতস্থানে লবঙ্গ চা লাগাতে ভুলবেন না। এমনটা করলে দেখবেন কষ্ট কমতে একেবারে সময়ই লাগবে না। আসলে লবঙ্গে উপস্থিত ভোলাটাইল অয়েল শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে জীবাণুদেরও মেরে ফেলে। ফলে সংক্রমণজনিত কষ্ট কমতে একেবারেই সময় লাগে না।

৯. নিমেষে জ্বরের প্রকোপ কমায়
লবঙ্গে থাকা ভিটামিন কে এবং ই, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে শরীরে উপস্থিত ভাইরাসেরা সব মারা পরে। ফলে ভাইরাল ফিবারের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হয়ে যাওয়ার পর সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।