হাওর বার্তা ডেস্কঃ তোপধ্বনি আর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে ২৬ মার্চ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে উদযাপিত হলো বাংলাদেশের ৪৭তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ভোর রাত রাত ০৬টা ৩৫ মিনিটে মহান এই দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। এসময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিভাষ্কর্য ‘দুর্জয় ভৈরবের’ পাদদেশে উপজেলাবাসীর পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া সকাল ৭টার দিকে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত বধ্যভূমিতে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন। এ সময় শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনায় অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত।
সকাল ৯টা থেকে ভৈরব স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে সারাদেশের সাথে একযোগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন, নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাজী ফয়সাল, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. সায়হুল্লাহ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আল মামুন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান আসমা আহমেদ সেলিম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাকির হোসেনসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কুচকাওয়াজে পুলিশ, আনসার, বিএনসিসি, রোভার, স্কাউটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিশু-কিশোর সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন। পরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিশু-কিশোর সংগঠনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতামূলক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শরীর চর্চা প্রদর্শনী। বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী উপস্থিত হয়ে এসব অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধিত করা হয়।