সবুজ কচি ডগার বুক ভেদ করে বের হয়েছে ফুটন্ত সাদা ফুল

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাঁশের খুঁটি আর শক্ত সুতো দিয়ে বিশাল এলাকাজুড়ে তৈরি করা হয়েছে মাচা। মাচার উপর এক ঝাঁক শিমগাছ তার সবুজ শিম ও লতা-পাতা ছড়িয়ে বসেছে। বিশাল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সবুজ কচি ডগার বুক ভেদ করে বের হয়েছে ফুটন্ত সাদা ফুল। দেখে মনে হচ্ছে যেন প্রকৃতি শিম গাছের ফল ও লতা-পাতা দিয়ে তৈরি করেছে বিশাল এক সবুজ গালিচা। আর সবুজ গালিচার মাঝে মাঝে উঁকি দিচ্ছে শিল্পীর তুলির আঁচড়ে আঁকা ফুটন্ত সাদা সাদা ফুল।

Related image

এদিকে সবুজের গালিচায় ফুটন্ত শিমের সাদা ফুলের উঁকির চিত্র ধরে রাখতে পরিচর্যার কাজে সার্বক্ষনিক ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কৃষকেরা।

গতকাল বুধবার এমন চিত্র দেখা যায় দিনাজপুর সদর উপজেলার ছয় নম্বর আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের শিমপল্লীতে।

চৈত্রের শুরুতে দিনের বেলায় অসনীয় গরমের পাশাপাশি কঠোর রোদের তাপ। অপরদিকে সন্ধ্যা নামলেই চারপাশে হালকা শীতের অনুভূতি। সবমিলিয়ে দিনে গরম আর রাতে ঠাণ্ডা। এমন কঠিন আবহাওয়ার পরিস্থিতে শিমগাছকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে সারাক্ষণ পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকেরা। ফুল ও ফলে ভরা মাচার পরিচর্যার পাশাপাশি কৃষকেরা শিম সংগ্রহ ও বাজারজাত করছেন প্রতিনিয়ত।

Related image

আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের কৃষক হাওর বার্তাকে জানান, ইতোপূর্বে শীত মৌসুম শেষ হওয়ার পর শিমক্ষেত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতো। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শে শীত শেষেও শিম চাষ করা সম্ভব হয়েছে। সাধারণত শিমক্ষেতে শুটির মাজরা পোকা ও জাব পোকা আক্রমণ করে থাকে। এছাড়া মরিচা রোগ ও হলুদ মোজাইক রোগে আক্রান্ত হয়। এসব রোগ ও পোকার আক্রমণ থেকে শিমক্ষেতকে রক্ষা করতে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর