ইউনিসেফের প্রতিবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন চুমকি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘বাংলাদেশে বা্ল্য বিয়ে বেড়েছে’- জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এই প্রতিবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি বলেছেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি বাংলাদেশে বাল্য বিয়ে বাড়েনি, বরং খুব দ্রুত গতিতে কমেছে। বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে শুধু সরকার নয়, বিভিন্ন সংগঠন সক্রিয়।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির অডিটোরিয়ামে এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাল্য বিয়ে প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, আমরা বিভিন্ন দিবস পালন করছি। সচেতন করছি। গ্রামে বাল্য বিয়ে হলে সরকারের পক্ষ থেকে লোকরা ছুটে যাচ্ছে। আমরা দেখছি কিশোরীরাই তাদের বিয়ে বন্ধ করছে। এত কিছুর পরও কি বাল্য বিবাহ বাড়তে পারে? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? আমরা বিশ্বাস করি না, মানি না, এটা বর্জন করি। দৃঢ়তার সাথে বর্জন করি।

প্রসঙ্গত, গত ৬ মার্চ এক প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে বাল্য বিয়ে কমেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। তবে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয় বাংলাদেশে আগের তুলনায় বাল্য বিয়ে বেড়েছে। বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার ৫২ থেকে বেড়ে ৫৯ শতাংশ হয়েছে, যা বিশ্বে চতুর্থ।

প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, কন্যা শিশুরা যখন পথে বের হয়, যে কোনো সময় তারা বিপদে পড়তে পারে। এমন অনেক মানুষ আছে যারা ওৎ পেতে থাকে কখন তারা একটি মেয়েকে পাবে। যেন বাঘ-হরিণ সম্পর্ক।

এরআগে সকাল সাড়ে আটটায় জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের উদ্যোগে ‘বদলে দেবার সময় এখন, গ্রাম শহরের নারীর জীবন’ এই স্লোগান নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি(ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র) থেকে একটি র‌্যালি শুরু হয়।

র‌্যালি উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। র‌্যালিতে ৩৬টি বিভিন্ন সংগঠনের সহস্রাধীক মানুষ অংশগ্রহণ করে। র‌্যালিটি জাতীয় শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু কিশোরী নয় কিশোরদের নিয়ে ও আগামীতে কাজ করতে হবে। তারা একদিন পুরুষ হবে। তারা নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করবে। নারীকে শ্রদ্ধা করবে, নারীকে সম্মান করবে। যেন তারা তাদের মানসিকতা পরিবর্তন করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কাজী রোজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলোজির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেহতাব খানম ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাসিমা আক্তার।

নিজ ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলোজির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেহতাব খানম এবং সাংবাদিক নাজমা আক্তার-কে সম্মাননা দেওয়া হয়।একই অনুষ্ঠানে ‘নারীর কথা-১৩’ নামক একটা প্রকাশনির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর