বৃদ্ধের ইবাদতের চেয়ে আল্লাহ বেশি খুশি হন তরুণদের ইবাদতে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মানুষের মহামূল্যবান সম্পদ হচ্ছে যৌবনকাল। ইসলামে যৌবনের গুরুত্ব অপরিসীম। একজন বৃদ্ধের ইবাদতের চেয়ে আল্লাহ বেশি খুশি হন যেসব তরুণ যৌবন বয়সে আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত থাকে।

তিরমিজি শরীফের এক বর্ণনায় প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সা.) ইরশাদ করেন, যৌবন বয়সের ইবাদতকে ইসলামে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে।

এ বিষয়ে হাদিসের বিশুদ্ধ কিতাব বুখারি ও মুসলিম শরীফে হজরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সা.) ইরশাদ করেন, যেদিন (কিয়ামত দিবসে) আল্লাহর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না, সেদিন তিনি সাত শ্রেণির লোককে তাঁর ছায়ায় স্থান দিবেন, তাদের মাঝে একশ্রেণির হলেন এমন যুবক যারা যৌবনকাল আল্লাহর ইবাদতে কাটিয়েছেন। (বুখারি ২য় খন্ড, হাদীস নং- ৫০৪)

প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সা.) আরো ইরশাদ করেন, হাশরের ময়দানে মানুষকে পাঁচটি বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে- তন্মধ্যে একটি প্রশ্ন করা হবে যৌবনকাল কিভাবে কাটিয়েছো। (বুখারি)

প্রিয় নবী (সা.) ইরশাদ করেন, ৫টি জিনিসকে ৫টি জিনিসের পূর্বে গনিমত মনে করো। তন্মধ্যে একটি হলো বার্ধক্য আসার পূর্বে যৌবনকে। (তিরমিজি শরিফ)

মোট কথা, যৌবনকাল মানবজীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ এসময় মানুষ বয়সের তাড়নায় ও শয়তানের প্ররোচণায় পড়ে বিভিন্ন নিন্দিত ও গোনাহর কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে।

তাই হাশরের মাঠে আল্লাহ তায়ালা এসময়ের হিসেব নিবেন। আর একারণেই আমলের ক্ষেত্রেও যৌবনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর