হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মাছের আড়তে আগুনে পুড়ে গেছে ২৫টিরও বেশি দোকান। এতে করে প্রায় ৫ থেকে ৭ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের। তবে ২৫ থেকে ৩০টি দোকান পুড়ে গেলেও আর্থিক ক্ষতির হিসেব মেলানো সময় সাপেক্ষ বলে জানিয়েছে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ। বৈদ্যতিক সর্ট সার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন জানায়, আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে শহরের পলতাকান্দা এলাকায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাছের আড়তটিতে আগুন দেখতে পায় এলাকাবাসী।
এ সময় তারা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে মোবাইলে আগুন লাগার খবর দেয়। খবর পেয়ে সাড়ে পাঁচটার দিকে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
পরে তাদের সাথে আশুগঞ্জ থেকে আরও একটি ইউনিট এসে যোগ দিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই ২৫টি দোকান সম্পূর্ণ এবং আর ৭/৮টি দোকান আংশিক পুড়ে যায়।
ভৈরব মাছের আড়তের ব্যবসায়ী সমতির সভাপতি মুজিবুর রহমান দাবি করেন, এই অগ্নিকাণ্ডে ২৫-৩০টি দোকান আসবাবপত্রসহ পুড়ে যায়। এতে করে তাদের ৫ থেকে ৭ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও দাবি করেন, অনেক ব্যবসায়ী রাতে ব্যবসা গুটিয়ে যাওয়ার সময় দোকান ঘরের ক্যাশবাক্সে টাকা রেখে যান। আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানে অন্যান্য আসবাবপত্রের সাথে ক্যাশবাক্সে থাকা নগদ টাকাও পুড়ে যেয়ে থাকতে পারে। আগুনের খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সবাই আড়তে আসার পর বিকাল নাগাদ সেই হিসেব জানা যাবে বলে তিনি জানান।
ভৈরব ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ম্যানেজার আজিজুল হক অর্থসূচককে জানান, ২৫-৩০টি দোকান পুড়ে গেলেও, টাকার অংকে কি পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তা এই মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না। সেই হিসেব নিরূপন করতে তাদের আরও সময় লাগবে বলে জানান তিনি।