ঢাকা ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরিষা আবাদে বাম্পার ফলনের আশা কৃষকের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০১৮
  • ৪৪৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঋতু বৈচিত্রের এ বাংলায় বছরের বিভিন্ন সময় বর্ণিল রঙ আর অনাবিল সৌন্দর্যে সজ্জিত হয় দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ। মাঘের মাঝামাঝি শীতের শেষে দিগন্ত জুড়ে হৃদয় ছুঁয়েছে সরিষা ফুল। দু’চোখ যতোদূর যায় শুধু দেখা মিলছে হলুদ রংয়ের। এ যেনো হলুদের সমাহার। বছরের এ সময়টায় সরিষার আবাদের কারণেই কৃষি ক্ষেতগুলোতে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে । পৌষের শুরুতে শীতের তীব্রতা বাড়ার পাশাপাশি ঝালকাঠির মাঠ ছেয়ে যায় হলুদ সরিষায়। ফুলে ফুলে মৌমাছির মন মাতানো গুনগুন সঙ্গীত প্রকৃতিপ্রেমীদের মন কেড়ে নেয়।

যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমছে চাষের জমির পরিমাণ, তারপরেও পরিকল্পিত ও আধুনিক প্রযুক্তির কারণে উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ছে। প্রযুক্তির কারণে দক্ষিণের জনপদগুলোতে ভালো হচ্ছে ফসলের আবাদ। তারই ধারাবাহিকতায় ঝালকাঠিতে এবার সরিষার আবাদ বিগত সময়ের থেকে অনেকটাই ভালো হয়েছে যেমনি, তেমনি বাম্বার ফলনের হাতছানিও দেখছেন কৃষক।

Image result for সরিষার চাষের ছবি

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা অফিসের তথ্যানুযায়ী, ঝালকাঠির চারটি উপজেলার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে এ বছর সরিষার আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ২শ’ হেক্টর, নলছিটিতে ১শ’৭৫ হেক্টর, রাজাপুরে ৫০ হেক্টর ও কাঁঠালিয়ায় ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।

এরই মধ্যে জেলার সরিষার আবাদের মাঠগুলো হলুদের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। সরিষার হলুদ ফুলের ওই রাজ্যে মৌমাছিরা মধু আহরণে ব্যস্ত সময় পার করছে।

অপরদিকে শেষ পর্য্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। তবে জানুয়ারির মধ্যভাগে ঘন কুয়াশা কিছুটা হতাশা বাড়িয়েছিলো কৃষকদের।

কৃষি বিভাগের মতে, আমন ও ইরি মৌসুমের মাঝে অবশিষ্ট যে সময় থাকে, সে সময়ে কৃষকেরা জমিতে সরিষার আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে জমিতে সরিষার আবাদের ফলে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। ফলে পরবর্তীতে ইরি-বোরো চাষাবাদের সময় সার ব্যবহারের খরচ কমে আসে। এসব দিক বিবেচনা করে কৃষি বিভাগের

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সরিষা আবাদে বাম্পার ফলনের আশা কৃষকের

আপডেট টাইম : ০৫:০২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঋতু বৈচিত্রের এ বাংলায় বছরের বিভিন্ন সময় বর্ণিল রঙ আর অনাবিল সৌন্দর্যে সজ্জিত হয় দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ। মাঘের মাঝামাঝি শীতের শেষে দিগন্ত জুড়ে হৃদয় ছুঁয়েছে সরিষা ফুল। দু’চোখ যতোদূর যায় শুধু দেখা মিলছে হলুদ রংয়ের। এ যেনো হলুদের সমাহার। বছরের এ সময়টায় সরিষার আবাদের কারণেই কৃষি ক্ষেতগুলোতে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে । পৌষের শুরুতে শীতের তীব্রতা বাড়ার পাশাপাশি ঝালকাঠির মাঠ ছেয়ে যায় হলুদ সরিষায়। ফুলে ফুলে মৌমাছির মন মাতানো গুনগুন সঙ্গীত প্রকৃতিপ্রেমীদের মন কেড়ে নেয়।

যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমছে চাষের জমির পরিমাণ, তারপরেও পরিকল্পিত ও আধুনিক প্রযুক্তির কারণে উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ছে। প্রযুক্তির কারণে দক্ষিণের জনপদগুলোতে ভালো হচ্ছে ফসলের আবাদ। তারই ধারাবাহিকতায় ঝালকাঠিতে এবার সরিষার আবাদ বিগত সময়ের থেকে অনেকটাই ভালো হয়েছে যেমনি, তেমনি বাম্বার ফলনের হাতছানিও দেখছেন কৃষক।

Image result for সরিষার চাষের ছবি

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা অফিসের তথ্যানুযায়ী, ঝালকাঠির চারটি উপজেলার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে এ বছর সরিষার আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ২শ’ হেক্টর, নলছিটিতে ১শ’৭৫ হেক্টর, রাজাপুরে ৫০ হেক্টর ও কাঁঠালিয়ায় ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।

এরই মধ্যে জেলার সরিষার আবাদের মাঠগুলো হলুদের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। সরিষার হলুদ ফুলের ওই রাজ্যে মৌমাছিরা মধু আহরণে ব্যস্ত সময় পার করছে।

অপরদিকে শেষ পর্য্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। তবে জানুয়ারির মধ্যভাগে ঘন কুয়াশা কিছুটা হতাশা বাড়িয়েছিলো কৃষকদের।

কৃষি বিভাগের মতে, আমন ও ইরি মৌসুমের মাঝে অবশিষ্ট যে সময় থাকে, সে সময়ে কৃষকেরা জমিতে সরিষার আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে জমিতে সরিষার আবাদের ফলে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। ফলে পরবর্তীতে ইরি-বোরো চাষাবাদের সময় সার ব্যবহারের খরচ কমে আসে। এসব দিক বিবেচনা করে কৃষি বিভাগের