ঢাকা ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জমিতে চারা রোপণ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে কৃষকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৩৭:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০১৮
  • ২৮২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিনাজপুরের বৃহতম উপজেলা চিরিরবন্দরে বোরো আবাদ শুরু হয়েছে। জমি প্রস্তুত করতে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। জমিতে পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ, বীজচারা উঠানো ও প্রস্তুতকৃত জমিতে চারা রোপণ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর চিরিরবন্দর উপজেলার ১৭ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে উফসি এবং ১ হাজার ৬৮৪ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের বোরে চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার গড় লক্ষমাত্রা ১৮ হাজার ৭০৪ হেক্টর। কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছেন এর অর্জিত ২৩ হাজার হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে। আকস্মিক কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে উপজেলার কৃষকরা এবার ব্যাপক লাভবান হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

গত মৌসুমের আমন ধানের ভাল ফলন প্রতি একরে প্রায় ৬০মন ও মূল্য প্রতিমন ৮শ থেকে ৯শ’ টাকা পেয়ে কৃষকদের বোরো আবাদে আগ্রহ বেড়েছে। উপজেলার সাতনালা ইউপির মাষ্টারপাড়া গ্রামের আদর্শ কৃষক জাকির হোসেন, মতিয়ার রহমান, মাষ্টার শাহীনুর ইসলাম, আলোকডিহি ইউপির গছাহার গ্রামের জিয়াউর রহমান,কমল চন্দ্র নশরতপুর ইউপির কালিতলা গ্রামের নাজমুল, মামুন, ইসবপুর ইউপির বাবলু, মতিউর রহমান ও নজরুল ইসলাম জানান, গত আমন মৌসুমে ব্রী-জাতের সোনার বাংলা,ব্রী-আঠাশ,বি-আর-১৬, ব্রী-৫১, জিরা ধানের ফলন ও বাজারমূল্য ভাল পাওয়ায় চলতি বোরো মৌসুমেও এগুলির আবাদ করতে তারা বেশী আগ্রহী।

তাছাড়া এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বোরো চারাও বেশ ভাল হয়েছে। চিরিরবন্দরের ধানের ফলন এ অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত হয়ে থাকে। কৃষি সম্পসারণ বিভাগের সঠিক পরামর্শ ও তদারকি, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পরিমিত এবং যথাসময়ে সেচ-সার ও বালইনাশক প্রয়োগ করলে বোরো ধানের ফলন আমন ধানের চেয়ে কম হবেনা বলে কৃষকরা আশা করছে। গ্রাম বাংলার প্রবাদ বাক্যে খনার বচণে প্রচলিত আছে-“আশায় খাটে চাষা”। দেখা যাক খনার বচন সত্যি হয় কিনা।

কৃষি সম্প্রাসারন কর্মকর্তা অখিল কুমার রায় বলেন, এবারে বোরো বীজতলা তৈরিতে কৃষিক্ষেত্রে যোগ হয়েছে কমিউনিটি ও আদর্শ বীজতলা। কমিউনিটি বা আদর্শ বীজতলা তৈরি করায় কৃষকের ধান উৎপাদন খরচ ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ খরচ কমে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান জানান, এবছর চিরিরবন্দর উপজেলায় বোরো মৌসুমে প্রায় ১৭ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কৃষকরা সঠিক পরিচর্যা করে বীজতলায় বোরো চারাকে সবল ও সতেজ করে রেখেছেন। কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে ইরি-বোরো চারা রশি দিয়ে টেনে লাইন লাইন করে রোপণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে ক্ষতির আশঙ্কা কম থাকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জমিতে চারা রোপণ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে কৃষকরা

আপডেট টাইম : ০২:৩৭:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিনাজপুরের বৃহতম উপজেলা চিরিরবন্দরে বোরো আবাদ শুরু হয়েছে। জমি প্রস্তুত করতে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। জমিতে পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ, বীজচারা উঠানো ও প্রস্তুতকৃত জমিতে চারা রোপণ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর চিরিরবন্দর উপজেলার ১৭ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে উফসি এবং ১ হাজার ৬৮৪ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের বোরে চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার গড় লক্ষমাত্রা ১৮ হাজার ৭০৪ হেক্টর। কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছেন এর অর্জিত ২৩ হাজার হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে। আকস্মিক কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে উপজেলার কৃষকরা এবার ব্যাপক লাভবান হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

গত মৌসুমের আমন ধানের ভাল ফলন প্রতি একরে প্রায় ৬০মন ও মূল্য প্রতিমন ৮শ থেকে ৯শ’ টাকা পেয়ে কৃষকদের বোরো আবাদে আগ্রহ বেড়েছে। উপজেলার সাতনালা ইউপির মাষ্টারপাড়া গ্রামের আদর্শ কৃষক জাকির হোসেন, মতিয়ার রহমান, মাষ্টার শাহীনুর ইসলাম, আলোকডিহি ইউপির গছাহার গ্রামের জিয়াউর রহমান,কমল চন্দ্র নশরতপুর ইউপির কালিতলা গ্রামের নাজমুল, মামুন, ইসবপুর ইউপির বাবলু, মতিউর রহমান ও নজরুল ইসলাম জানান, গত আমন মৌসুমে ব্রী-জাতের সোনার বাংলা,ব্রী-আঠাশ,বি-আর-১৬, ব্রী-৫১, জিরা ধানের ফলন ও বাজারমূল্য ভাল পাওয়ায় চলতি বোরো মৌসুমেও এগুলির আবাদ করতে তারা বেশী আগ্রহী।

তাছাড়া এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বোরো চারাও বেশ ভাল হয়েছে। চিরিরবন্দরের ধানের ফলন এ অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত হয়ে থাকে। কৃষি সম্পসারণ বিভাগের সঠিক পরামর্শ ও তদারকি, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পরিমিত এবং যথাসময়ে সেচ-সার ও বালইনাশক প্রয়োগ করলে বোরো ধানের ফলন আমন ধানের চেয়ে কম হবেনা বলে কৃষকরা আশা করছে। গ্রাম বাংলার প্রবাদ বাক্যে খনার বচণে প্রচলিত আছে-“আশায় খাটে চাষা”। দেখা যাক খনার বচন সত্যি হয় কিনা।

কৃষি সম্প্রাসারন কর্মকর্তা অখিল কুমার রায় বলেন, এবারে বোরো বীজতলা তৈরিতে কৃষিক্ষেত্রে যোগ হয়েছে কমিউনিটি ও আদর্শ বীজতলা। কমিউনিটি বা আদর্শ বীজতলা তৈরি করায় কৃষকের ধান উৎপাদন খরচ ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ খরচ কমে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান জানান, এবছর চিরিরবন্দর উপজেলায় বোরো মৌসুমে প্রায় ১৭ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কৃষকরা সঠিক পরিচর্যা করে বীজতলায় বোরো চারাকে সবল ও সতেজ করে রেখেছেন। কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে ইরি-বোরো চারা রশি দিয়ে টেনে লাইন লাইন করে রোপণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে ক্ষতির আশঙ্কা কম থাকে।