কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের পাউন গ্রামে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলনকারী চারটি লরি আটকে প্রতিবাদ জানিয়েছে গ্রামবাসী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের পাউন গ্রামে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলনকারী চারটি লরি আটকে প্রতিবাদ জানিয়েছে গ্রামবাসী।

আজ সকালে পাউন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় চারটি লরি গ্রামবাসী সম্মিলিতভাবে আটক করে। পরে এ রাস্তায় আর কোনদিন যেন লরি না আসে সে বিষয়ে সতর্ক করে সেগুলি ছেড়ে দেয়া হয়।

গ্রামবাসীর অভিযোগ দেওঘর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের গোলাপ মাঝির ইটের ভাটার জন্য পাউন ও কাগজীগ্রামের ফসলি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন ধানের উৎপাদন কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে মাটি সংগ্রহের বাহন ভারি লরির কারণে নবনির্মিত পাকা রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব ভারি লরি রাস্তায় চলাচলের কারণে পাউন থেকে কাগজীগ্রাম হয়ে ভাটিনগর ও নির্মিতব্য আলীনগর গ্রামের আরসিসি রাস্তার বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। কোন কোন স্থান ভেঙ্গে গিয়েছে। সাথে বাড়ছে ছোটখাট দুর্ঘটনাও।

তাদের মতে এই মুহূর্তে যদি এসব ভারি লরি এলাকায় চলাচল বন্ধ না করে তবে মহামান্য রাষ্ট্রপতির অবদানের ফসল এই রাস্তা খুব শ্রীগ্রই নষ্ট হয়ে যাবে। আর ক্ষতিগ্রস্থ হবে সমগ্র দেওঘর ইউনিয়নের লাখো মানুষ।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় সাংসদ প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের। তিনিও বিষয়টির সাথে সহমত পোষণ করে স্থানীয়ভাবে বাঁধা দেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।

জানা যায়, উপজেলার বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের ব্যবসায়ী ভিসেম্বর দেবনাথ গোলাপ মাঝির ইটের ভাটায় অর্থলগ্নী করেছেন। উনার চাহিদা মোতাবেক বিপুল পরিমাণ ইট সরবরাহ করার জন্যই মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভিসেম্বর দেবনাথ কাগজীগ্রামে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা সংস্কার করার আশ্বাস দিয়েছেন।

যোগাযোগ করা হলে ব্যবসায়ী ভিসেম্বর হাওর বার্তাকে বলেছেন, “রাস্তার তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। আমি কাগজীগ্রামে গিয়ে বলেছি যদি ক্ষতি হয় তবে আমি সেটা ঠিক করে দিব। আর পাউন গ্রামের ঘটনার কথা আমি এখনও শুনিনি।

এ বিষয়ে পাউন গ্রামের বাসিন্দা ও অষ্টগ্রাম রোটারী কলেজের প্রভাষক হাওর বার্তাকে বলেছেন, একটা মহল উন্নয়নের দোহাই দিয়ে তাদের পকেট ভারি করায় ব্যস্ত। যেখানে এ সমস্ত ভারি লরি চলাচলে মহামান্য পর্যন্ত নিষেধ করেছেন সেখানে তাদের এ ধৃষ্টতা আমাদের বিস্মিত করে। জনজীবন মারাত্বক বিপর্যস্ত। রাস্তাঘাট মরণফাঁদে পরিণত হচ্ছে। আমরা জনগণ এর প্রতিকার চাই।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর