ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি-জামায়াতের লুটপাটের কারণেই কমেছে সাক্ষরতার হার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৭:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • ২৪৬ বার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকারের আমলে শিক্ষা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ লুটপাটের কারণেই কমেছে সাক্ষরতার হার।

মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

দিবসটি পালনের ৫০তম বর্ষপূর্তিতে এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘সাক্ষরতা আর দক্ষতা, টেকসই সমাজের মূলকথা’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুলে ভর্তি হওয়া শিশুদের অধিকার। একটি নির্দিষ্ট বয়স হয়ে গেলে শিশুরা স্কুলে ভর্তি হয়ে যাবে। তাদের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই। এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, আমি বুঝি না ক্লাশ ওয়ানে ভর্তি হতে শিশুকে কেন পরীক্ষা দিতে হবে।
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন শিশুকে যদি লিখতে পড়তে শিখেই স্কুলে ভর্তি হতে হয় তাহলে স্কুল কি পড়াবে?

দেশকে নিরক্ষরতামুক্ত ও ১৬ কোটি মানুষকে মানবসম্পদে রূপান্তরের মাধ্যমে মানবপুঁজি হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

সংশ্লিষ্টদের তিনি বলেন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন-২০১৪ এর আলোকে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করুন, ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করুন। আপনাদের সকল কাজে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সর্বোচ্চ সমর্থন ও সহযোগিতার দ্বার অবারিত থাকবে।

সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত, সুখী-সমৃদ্ধ দেশ, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসাবে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি-জামায়াতের লুটপাটের কারণেই কমেছে সাক্ষরতার হার

আপডেট টাইম : ১১:১৭:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকারের আমলে শিক্ষা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ লুটপাটের কারণেই কমেছে সাক্ষরতার হার।

মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

দিবসটি পালনের ৫০তম বর্ষপূর্তিতে এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘সাক্ষরতা আর দক্ষতা, টেকসই সমাজের মূলকথা’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুলে ভর্তি হওয়া শিশুদের অধিকার। একটি নির্দিষ্ট বয়স হয়ে গেলে শিশুরা স্কুলে ভর্তি হয়ে যাবে। তাদের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই। এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, আমি বুঝি না ক্লাশ ওয়ানে ভর্তি হতে শিশুকে কেন পরীক্ষা দিতে হবে।
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন শিশুকে যদি লিখতে পড়তে শিখেই স্কুলে ভর্তি হতে হয় তাহলে স্কুল কি পড়াবে?

দেশকে নিরক্ষরতামুক্ত ও ১৬ কোটি মানুষকে মানবসম্পদে রূপান্তরের মাধ্যমে মানবপুঁজি হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

সংশ্লিষ্টদের তিনি বলেন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন-২০১৪ এর আলোকে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করুন, ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করুন। আপনাদের সকল কাজে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সর্বোচ্চ সমর্থন ও সহযোগিতার দ্বার অবারিত থাকবে।

সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত, সুখী-সমৃদ্ধ দেশ, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসাবে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।