সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ বেতন (গ্রেড-১) ৭৮ হাজার টাকা এবং সর্বনিম্ন (গ্রেড-২০) ৮ হাজার ২৫০ টাকা নির্ধারণ করে নতুন বেতন কাঠামো অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
এ কাঠামোয় আগের মতো ২০টি গ্রেড থাকছে। সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
মূল বেতনের শতকরা ২০ ভাগ নববর্ষ ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা থাকছে। এছাড়া নতুন বেতন কাঠামোয় টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড থাকছে না।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।
সর্বশেষ ২০০৯ সালের ১ জুলাই সপ্তম বেতন কাঠামো কার্যকর হয়েছিল। ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর ১৩ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর জন্য ১৭ সদস্যের ‘জাতীয় বেতন ও চাকরি কমিশন-২০১৩’ গঠন করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
ওই বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এ কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশসংবলিত একটি প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে কমিশনের মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানো হয়।
গত বছরের ২১ ডিসেম্বর সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কাছে প্রতিবেদন পৌঁছে দেন জাতীয় বেতন ও চাকরি কমিশনের চেয়ারম্যান।
বর্তমান ২০টির পরিবর্তে ১৬টি ধাপে বেতন দেয়ার সুপারিশ করেছিল। কমিশনের সুপারিশ ছিল, সর্বোচ্চ ধাপে ৮০ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন ধাপে ৮ হাজার ২০০ টাকা।
পরে ৩১ ডিসেম্বর বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রতিবেদন পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ছয় সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছিল। কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দফা সময় বাড়ানো হয়।