হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি ডুবন্ত নৌকা জাগিয়ে তোলার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি এই নৌকাকে সফলভাবে জাগিয়ে তুলতে পারব এমন আস্থা ও বিশ্বাস থেকে প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর এ দায়িত্ব দিয়েছেন।
আমি সফল হলে প্রধানমন্ত্রীও সফল হবেন, শক্তিশালী হবেন। তাঁর সম্মান রাখার জন্য আমি চেষ্টা করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে জাগিয়ে তুলব।
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের প্রাইভেট অপারেটরগুলো আমাদের ফ্রিকোয়েন্সি ও ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছে। তারা পারলে আমরা পারব না কেন? আমার বিশ্বাস আগে কোথাও কোনো ভুল ছিল অথবা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। আমি এগুলো চিহ্নিত করব। সে অনুযায়ী কাজ করব। ব্যর্থ হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমার বিশ্বাস ব্যর্থতাগুলো চিহ্নিত করতে পারলে আমরাও সফল ভাবে ব্যবসা করতে পারব।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তির সব খাতসহ সকল ক্ষেত্রে আমাদের স্বপ্নগুলো পূরণ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা এবং বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার জন্য তিনি কাজ করব।
এর আগে সকাল সোয়া ১১টায় মন্ত্রী হেলিকাপ্টারযোগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান। পরে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।
এ সময় বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফাসহ খুলনা ও গোপালগঞ্জের বিটিসিএল-এর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গোপালগঞ্জ ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।