হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইন্টারনেটের দাম কমানো ও গতি বৃদ্ধি করাই আমার প্রথম কাজ বলে মন্তব্য করেছেন নবনিযুক্ত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। নবনিযুক্ত মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ আলোচনায় থাকছে না।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিডিবিএল ভবনে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) মিলনায়তনে সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে মন্ত্রী ও বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বারকে শুভেচ্ছা জানায় বেসিসের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরাসহ বেসিস সচিবালয় ও বিআইটিএম। পরে বেসিসের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে আবার কথা বলেন মোস্তাফা জব্বার।
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, মোস্তাফা জব্বারকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে সরিয়ে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে দেয়া হয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আইসিটি খাতের মন্ত্রিত্ব পাওয়া তার দীর্ঘ কর্মজীবনের সেরা সাফল্য। তবে তার মন্ত্রিত্ব আরো আগেই পাওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন মোস্তাফা জব্বার।
তিনি জানান, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ক্যানসারে আক্রান্ত। অনেক কর্মকর্তাই জানিয়েছেন, একটা কানাগলির মধ্যে দিয়ে সবাই। সেই অবস্থা থেকে আমাদের বের হতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ে বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান এক তরফা ব্যবসা করতে পারবে না। আমার দেশের মার্কেট আমার দখলে থাকবে। বাংলাদেশে কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই দেশের মানুষের প্রতি সম্মান রেখে বাংলায় চিঠিপত্র আদান-প্রদান করতে হবে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমার দেশের ১৬ কোটি মানুষের ৯৬ ভাগ ইংরেজি বুঝে না। এজন্য তারা যে ভাষা বুঝে সেই ভাষায় আমাদের কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। শুধু ইংরেজি ব্যবহার না করে ক্ষেত্র বিশেষে বাংলা, ইংরেজি দুটি ভাষায় ব্যবহার করা হবে। ১০০ দিনে কী করা সম্ভব সেসব কাজ করতে হবে। পাঁচ বছরের চিন্তা করলে হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিটিআরসির ওপর ক্ষুব্ধ। কেন তারা এখনো ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারেনি। কমায়নি।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাসেল টি আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সাবেক সভাপতি এ তৌহিদ, হাবিবুল্লাহ এন কারিম, সারওয়ার আলম, রফিকুল ইসলাম রাওলি, এ কে এম ফাহিম মাসরুর, শামীম আহসান।