বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগে শহীদ এবং শেষে রহমতুল্লাহি আলাইহি যোগ করার দাবি করেছেন ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ আখতার হুসাইন বুখারী।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ দাবি জানান।
আখতার হুসাইন বলেন, জাতির জনকের নামের আগে বঙ্গবন্ধু ব্যবহার করা হয়। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে উনার নামের আগে জাতীয়ভাবে শহীদ শব্দ ব্যবহার করা হয় না। নামের শেষে রহমতুল্লাহি আলাইহি বলা হয় না।
তিনি আরো বলেন, অবিলম্বে বঙ্গবন্ধুর নামের আগে জাতীয়ভাবে শহীদ ও নামের শেষে রহমতুল্লাহি আলাইহি বলতে হবে। একই সাথে ১৫ আগস্টকে জাতীয় শাহাদাত দিবস ঘোষণা করতে হবে।
এসময় সরকার এবং ওলামা লীগের চরিত্র হননকারী উলফার টাকায় পরিচালিত বিদেশি এজেন্ট দৈনিক প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার নিষিদ্ধের আহ্বান জানান ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা মুহম্মাদ আখতার হুসাইন বুখারী।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং দেশের স্বাধীনতা আনয়নকারী খোদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চরম বিদ্বেষী প্রথম আলো, ডেইলি স্টার গং তথা মতিউর-মাহফুজ ও ট্রান্সকমের লতিফুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত ও ধর্মভীরুদেরকে উজ্জীবিত রাখার সংগঠন আওয়ামী ওলামা লীগের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে।
এসময় শাহজাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালকে নাস্তিক আখ্যায়িত করেন ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা মুহম্মাদ আখতার হুসাইন বুখারী।
তিনি বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের সমালোচনাকারী ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী, শাবির শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধকারী, ছাত্রসমাজ ও শিক্ষকদের মাঝে বিভক্তি ও বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী নিন্দিত শিক্ষক ইসলামবিদ্ধেষী জাফর ইকবালের বহিষ্কার চাই।
এসময় ওলামা লীগ বর্তমানে পাঠ্যপুস্তকে কট্টর ইসলামবিরোধী হিন্দু ও নাস্তিক লেখকদের লেখাকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে।
নেতারা বলেন, ইসলামকে কটাক্ষ করে লেখালেখি করে এদেশের জাতীয় পর্যায়ে যেসব চিহ্নিত ইসলামবিদ্বেষী লেখক নাস্তিক হুমায়ন আজাদ, তাসলিমা নাসরিন সেলিনা হোসেনসহ আরো অনেক নাস্তিকদের লেখাকে বর্তমানে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
এসময় সানি লিওন ও পাওলী দামকে পতিতা আখ্যায়িত করে যেকোনো মূল্যে তাদের আগমন নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে ওলামা লীগ ।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাজী মাওলানা মুহাম্মাদ আবুল হাসান, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আবুদস সাত্তার ও জাতীয় কুরআন শিক্ষা মিশনের সভাপতি মুহাম্মাদ আবু বক্কার সিদ্দিক।