ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইন্টারনেটে ৯ বছরে ব্যবহারকারী বেড়েছে ১০০ গুণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৩৩০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিগত নয় বছরে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা একশ গুণ বেড়েছে, যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকারের লক্ষ্য অর্জনে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা যেতে পারে।

দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আট কোটি, যা ২০০৮ সালে ছিল মাত্র আট লাখ।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী সরকারি সংবাদ সংস্থা-বাসসকে বলেছেন, ‘সরকার একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সহজ যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে দেশকে একটি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।’

তিনি বলেন, এ উদ্যোগের আওতায় ইন্টারনেট সেবাসহ বিভিন্ন সেবা সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছে যাচ্ছে এবং তারা ব্যবসাসহ যে কোনো উদ্দেশ্যে সহজে সারাবিশ্বে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে।

আইসিটি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম আবু নাসের বলেন, সরকার ২০২১ সাল নাগাদ দেশব্যাপী শতভাগ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এছাড়া সরকার ২০২১ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড সংযোগ নিশ্চিত করবে।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আট কোটিতে উন্নীত হওয়াকে একটি বিরাট সাফল্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার ইনফো গভর্নমেন্ট ফেইজ-৩ প্রকল্পের আওতায় দেশের দুই হাজার ছয়শ ইউনিয়নে উচ্চ গতিসম্পন্ন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করবে।

তিনি বলেন, সরকার আরো বেশি উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করতে এবং গ্রামীণ এলাকায় সরকারের ই-সেবা বাড়াতে ও নাগরিকদের স্থানীয় সরকারের সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে এবং সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে নির্বিঘ্নে সম্পদ ও তথ্য বিনিময় নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী ব্যাকবোন নেটওয়ার্ক জোরদারে এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

প্রদত্ত সেবা সম্পর্কে জনসংযোগ কর্মকর্তা এম আবু নাসের বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগের অধীনে এ পর্যন্ত ১৮ হাজার একশ ৩২টি সরকারি অফিস ইতোমধ্যে সরকারের ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনা হয়েছে এবং প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ১৭টি বই ইন্টার-অ্যাক্টিভ ডিজিটাল কন্টেন্টে রূপান্তর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার আইসিটি খাতে মানবসম্পদ উন্নয়নে দেশেজুড়ে ২৮টি হাইটেক পার্ক স্থাপনের কাজ করছে। এসব পার্ক স্থাপনর কাজ সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে দেশে বেকারত্বের সমস্যা বহুলাংশে কমে যাবে।
আবু নাসের বলেন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি (বিএইচটিপিএ) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

তিনি বলেন, বিএইচটিপিএ মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে স্কিল এনহ্যান্সমেন্ট প্রোগ্রাম, মিড লেভেল প্রোগ্রাম, কোম্পানি সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম, সি-লেভেল ট্রেনিং প্রোগ্রাম, ট্রেনিং অন লীন সিক্স সিগমা, ওরাকল ও স্যাপ-এর আওতায় তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

তিনি জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য সরকার বহু মর্যাদাবান আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। এসব পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে- সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড ২০১১, ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট ফর ডিজিটাল হেল্থ, গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৪, সাউথ সাউথ কো-অপারেশন ভিশনারি অ্যাওয়ার্ড ২০১৪, ওয়ার্ল্ড আইটি সাভিসেস অ্যালাইয়েন্স (ডব্লিউঅইটিএসএ) অ্যাওয়ার্ড ২০১৪, আইসিটিজ ইন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৫, আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৬, গ্লোবাল মোবাইল গভর্নমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৭, এশিয়ন-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (এএসওসিঅইও) ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৬।
এছাড়া এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পরপর চার বছর ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।

আবু নাসের বলেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এএসওসিআইও ২০১৭ আইসিটি এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে এবং ইনফো গভর্নমেন্ট প্রজেক্ট ২০১৭ ই-এশিয়া পুরস্কার পেয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ইন্টারনেটে ৯ বছরে ব্যবহারকারী বেড়েছে ১০০ গুণ

আপডেট টাইম : ০৩:৫৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিগত নয় বছরে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা একশ গুণ বেড়েছে, যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকারের লক্ষ্য অর্জনে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা যেতে পারে।

দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আট কোটি, যা ২০০৮ সালে ছিল মাত্র আট লাখ।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী সরকারি সংবাদ সংস্থা-বাসসকে বলেছেন, ‘সরকার একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সহজ যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে দেশকে একটি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।’

তিনি বলেন, এ উদ্যোগের আওতায় ইন্টারনেট সেবাসহ বিভিন্ন সেবা সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছে যাচ্ছে এবং তারা ব্যবসাসহ যে কোনো উদ্দেশ্যে সহজে সারাবিশ্বে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে।

আইসিটি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম আবু নাসের বলেন, সরকার ২০২১ সাল নাগাদ দেশব্যাপী শতভাগ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এছাড়া সরকার ২০২১ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড সংযোগ নিশ্চিত করবে।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আট কোটিতে উন্নীত হওয়াকে একটি বিরাট সাফল্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার ইনফো গভর্নমেন্ট ফেইজ-৩ প্রকল্পের আওতায় দেশের দুই হাজার ছয়শ ইউনিয়নে উচ্চ গতিসম্পন্ন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করবে।

তিনি বলেন, সরকার আরো বেশি উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করতে এবং গ্রামীণ এলাকায় সরকারের ই-সেবা বাড়াতে ও নাগরিকদের স্থানীয় সরকারের সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে এবং সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে নির্বিঘ্নে সম্পদ ও তথ্য বিনিময় নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী ব্যাকবোন নেটওয়ার্ক জোরদারে এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

প্রদত্ত সেবা সম্পর্কে জনসংযোগ কর্মকর্তা এম আবু নাসের বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগের অধীনে এ পর্যন্ত ১৮ হাজার একশ ৩২টি সরকারি অফিস ইতোমধ্যে সরকারের ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনা হয়েছে এবং প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ১৭টি বই ইন্টার-অ্যাক্টিভ ডিজিটাল কন্টেন্টে রূপান্তর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার আইসিটি খাতে মানবসম্পদ উন্নয়নে দেশেজুড়ে ২৮টি হাইটেক পার্ক স্থাপনের কাজ করছে। এসব পার্ক স্থাপনর কাজ সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে দেশে বেকারত্বের সমস্যা বহুলাংশে কমে যাবে।
আবু নাসের বলেন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি (বিএইচটিপিএ) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

তিনি বলেন, বিএইচটিপিএ মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে স্কিল এনহ্যান্সমেন্ট প্রোগ্রাম, মিড লেভেল প্রোগ্রাম, কোম্পানি সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম, সি-লেভেল ট্রেনিং প্রোগ্রাম, ট্রেনিং অন লীন সিক্স সিগমা, ওরাকল ও স্যাপ-এর আওতায় তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

তিনি জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য সরকার বহু মর্যাদাবান আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। এসব পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে- সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড ২০১১, ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট ফর ডিজিটাল হেল্থ, গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৪, সাউথ সাউথ কো-অপারেশন ভিশনারি অ্যাওয়ার্ড ২০১৪, ওয়ার্ল্ড আইটি সাভিসেস অ্যালাইয়েন্স (ডব্লিউঅইটিএসএ) অ্যাওয়ার্ড ২০১৪, আইসিটিজ ইন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৫, আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৬, গ্লোবাল মোবাইল গভর্নমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৭, এশিয়ন-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (এএসওসিঅইও) ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৬।
এছাড়া এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পরপর চার বছর ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।

আবু নাসের বলেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এএসওসিআইও ২০১৭ আইসিটি এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে এবং ইনফো গভর্নমেন্ট প্রজেক্ট ২০১৭ ই-এশিয়া পুরস্কার পেয়েছে।