ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
টাকার পাহাড় গড়েছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা: সেলিমা রহমান ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে ভারতে ‘এক দেশ এক ভোট’ কি সত্যিই হবে পুলিশের কাজ পুলিশকে দিয়েই করাতে হবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না জাতিসংঘ অধিবেশন নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে ড. ইউনূসের বৈশ্বিক-আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জরুরি: বাইডেন ইলিশের দাম কমছে না কেন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন

এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে বোঝা গেল, ইতিহাসও প্রতিশোধ নেয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩২:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৪২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইতিহাসও প্রতিশোধ নেয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ’৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের পর ৭ই মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল। ওই ভাষণ বাজাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নাম তারা মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। পারেনি। আসলে ইতিহাস মুছতে চাইলেও তা মুছে ফেলা যায় না। ৭ই মার্চের ভাষণে ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে তাদের কি এখন লজ্জা হয় না ? দ্বিধা হয় না ? জানি না তাদের লজ্জা আছে কি-না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব স্বীকৃতি পাওয়ায় বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। এজন্য আমরা গর্বিত জাতি। আমাদের উন্নত শির যেন আর কোনোদিন পরাভূত না হয় সেজন্য সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত থাকবে, এর মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি এগিয়ে যাবে, এটাই হোক আজকের প্রতিজ্ঞা। তিনি বলেন, বিজয়ী জাতি হিসেবে বিজয়ের ইতিহাস বলতে পারবো না, এটা তো হয় না। এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে বোঝা গেল, ইতিহাসও প্রতিশোধ নেয়।

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে বিশিষ্ট নাগরিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ছাড়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।

সমাবেশে ২৪ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে আমরা মুক্তিযোদ্ধাসহ সবাই সম্মানিত হয়েছি। তবে পাকিস্তানের প্রেতাত্মা তোষামোদকারী ও চাটুকাররা যেন আর কখনও ইতিহাস বিকৃত করার সুযোগ না পায় সেজন্য বাংলার মানুষকে জাগ্রত থাকতে হবে।

ভাষণের শেষদিকে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এতদিন এরকম (গতকালের আবওহাওয়া ছিল মেঘাছন্ন) মেঘে ছেয়েছিল। আমাদের আকাশে সূর্য নতুনভাবে দেখা দিয়েছে। এই সূর্যই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশকে আবারও আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

টাকার পাহাড় গড়েছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা

এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে বোঝা গেল, ইতিহাসও প্রতিশোধ নেয়

আপডেট টাইম : ০৩:৩২:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইতিহাসও প্রতিশোধ নেয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ’৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের পর ৭ই মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল। ওই ভাষণ বাজাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নাম তারা মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। পারেনি। আসলে ইতিহাস মুছতে চাইলেও তা মুছে ফেলা যায় না। ৭ই মার্চের ভাষণে ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে তাদের কি এখন লজ্জা হয় না ? দ্বিধা হয় না ? জানি না তাদের লজ্জা আছে কি-না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব স্বীকৃতি পাওয়ায় বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। এজন্য আমরা গর্বিত জাতি। আমাদের উন্নত শির যেন আর কোনোদিন পরাভূত না হয় সেজন্য সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত থাকবে, এর মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি এগিয়ে যাবে, এটাই হোক আজকের প্রতিজ্ঞা। তিনি বলেন, বিজয়ী জাতি হিসেবে বিজয়ের ইতিহাস বলতে পারবো না, এটা তো হয় না। এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে বোঝা গেল, ইতিহাসও প্রতিশোধ নেয়।

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে বিশিষ্ট নাগরিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ছাড়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।

সমাবেশে ২৪ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে আমরা মুক্তিযোদ্ধাসহ সবাই সম্মানিত হয়েছি। তবে পাকিস্তানের প্রেতাত্মা তোষামোদকারী ও চাটুকাররা যেন আর কখনও ইতিহাস বিকৃত করার সুযোগ না পায় সেজন্য বাংলার মানুষকে জাগ্রত থাকতে হবে।

ভাষণের শেষদিকে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এতদিন এরকম (গতকালের আবওহাওয়া ছিল মেঘাছন্ন) মেঘে ছেয়েছিল। আমাদের আকাশে সূর্য নতুনভাবে দেখা দিয়েছে। এই সূর্যই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশকে আবারও আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।