ঢাকা ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

সোনালী ধানে ভরপুর পলাশের ফসলিমাঠ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৭
  • ৪৩৭ বার

Exif_JPEG_420

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চারদিকে সোনালী পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠেছে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গ্রামীণ জনপদ। শুরু হয়ে গেছে আমন ফসলকে ঘরে তোলার কাজ। কৃষক-কৃষাণীরা এখন দারুণ ব্যস্ত ফসল তোলাকে কেন্দ্র করে। উপজেলার গ্রামগুলোতে কেবল সোনালী ধানের হাতছানি। আমনের আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এবার পলাশ উপজেলায় তিন হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে।  প্রতি হেক্টর জমিতে সাড়ে চার থেকে ৫ টন করে ফলন আসতে পারে বলে ধারণা করছেন কৃষি অফিস। ব্রি- ৪৯, ৬২ ও বিনা- ৭ জাতের ধানের পাশাপাশি এবার প্রথমবারের মতো ব্রি- ৫২ জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে ।

উচ্চ ফলনশীল ব্রি- ৫২ জাতের ধান চাষে আগ্রহ বাড়াতে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে উপজেলার কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান কৃষি অফিস। পলাশ উপজেলায় প্রথম বারের মতো ব্রি- ৫২ জাতের ধান আবাদ করে ফলনও ভালো হয়েছে বলে জানান। ক‘দিন আগে নবান্ন উৎসবের মধ্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আমন ধান কাটা উদ্বোধন করেন, পলাশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলিপ।

‘ও মা, অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কি দেখেছি মধুর হাসি‘ এমন নয়ন জুড়ানো সোনালী ধানের আভায় ভরে উঠেছে ফসলের মাঠ। পল্লী কবির ভাষায় বলা যায়, আমার বাড়ি যাইও ভ্রমর বসতে দেব পিঁড়ে জল পান যে করতে দেব শালি ধানের চিড়ে…। ইতিমধ্যে উপজেলার অনেক এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষকদের মতে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে, যা প্রত্যাশা করা হয়েছে তার চেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যাচ্ছে। তবে হতাশা রয়েছে ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে।

ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রি করতে পারলে তাদের এ হাসি দীর্ঘস্থায়ী না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রমিক খরচ, সার, পানি, কীটনাশকসহ আনুষঙ্গিক খরচে হিমশিম খেতে হয় কৃষকদের। তার ওপর ধানের ন্যায্যমূল্য না পেলে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায়। তাই কৃষকদের দাবি, সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে খোলা বাজারে ধান সংগ্রহ করুক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ক্যাটরিনার হাতে ২০ বার থাপ্পড় খেয়েছিলেন ইমরান খান

সোনালী ধানে ভরপুর পলাশের ফসলিমাঠ

আপডেট টাইম : ০৫:৫৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চারদিকে সোনালী পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠেছে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গ্রামীণ জনপদ। শুরু হয়ে গেছে আমন ফসলকে ঘরে তোলার কাজ। কৃষক-কৃষাণীরা এখন দারুণ ব্যস্ত ফসল তোলাকে কেন্দ্র করে। উপজেলার গ্রামগুলোতে কেবল সোনালী ধানের হাতছানি। আমনের আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এবার পলাশ উপজেলায় তিন হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে।  প্রতি হেক্টর জমিতে সাড়ে চার থেকে ৫ টন করে ফলন আসতে পারে বলে ধারণা করছেন কৃষি অফিস। ব্রি- ৪৯, ৬২ ও বিনা- ৭ জাতের ধানের পাশাপাশি এবার প্রথমবারের মতো ব্রি- ৫২ জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে ।

উচ্চ ফলনশীল ব্রি- ৫২ জাতের ধান চাষে আগ্রহ বাড়াতে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে উপজেলার কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান কৃষি অফিস। পলাশ উপজেলায় প্রথম বারের মতো ব্রি- ৫২ জাতের ধান আবাদ করে ফলনও ভালো হয়েছে বলে জানান। ক‘দিন আগে নবান্ন উৎসবের মধ্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আমন ধান কাটা উদ্বোধন করেন, পলাশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলিপ।

‘ও মা, অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কি দেখেছি মধুর হাসি‘ এমন নয়ন জুড়ানো সোনালী ধানের আভায় ভরে উঠেছে ফসলের মাঠ। পল্লী কবির ভাষায় বলা যায়, আমার বাড়ি যাইও ভ্রমর বসতে দেব পিঁড়ে জল পান যে করতে দেব শালি ধানের চিড়ে…। ইতিমধ্যে উপজেলার অনেক এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষকদের মতে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে, যা প্রত্যাশা করা হয়েছে তার চেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যাচ্ছে। তবে হতাশা রয়েছে ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে।

ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রি করতে পারলে তাদের এ হাসি দীর্ঘস্থায়ী না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রমিক খরচ, সার, পানি, কীটনাশকসহ আনুষঙ্গিক খরচে হিমশিম খেতে হয় কৃষকদের। তার ওপর ধানের ন্যায্যমূল্য না পেলে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায়। তাই কৃষকদের দাবি, সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে খোলা বাজারে ধান সংগ্রহ করুক।