ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২দিনে অনুপস্থিত ১ লাখ ২২ হাজার ঝরে পড়া নিয়ে উদ্বেগ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৯:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৬২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝরে পড়া রোধে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিলেও প্রতিবছর অষ্টম শ্রেণি পার করতে পারছে না লাখ লাখ শিক্ষার্থী। অষ্টম শ্রেণির জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করলেও এসব শিক্ষার্থীর কয়েক লাখ ঝরে যায় প্রতিবছর। চলতি বছরে প্রথম দুই পরীক্ষায় অনুপস্থিত প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার, যা উদ্বেগের।

বিনামূল্যে বই ও পড়াশোনার খরচ সরকার বহন করলেও ঝরে পড়ার কারণ অনুসন্ধান নিয়ে আদতে সরকারের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। আর এই ঝরে পড়াকে উদ্বেগজনক হিসেবেই দেখছেন শিক্ষাবিদরা।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড বলছে, ঝরে পড়া রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের জন্য একটি লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হবে।

চলতি বছরের অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার প্রথম দিন আটটি সাধারণ ও মাদরাসা বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ৬০ হাজার ৮৯৩ জন। দ্বিতীয় দিন এই সংখ্যা ৬১ হাজার ৯৮৯ জনে গিয়ে দাঁড়ায়। মাত্র দু’দিনেই অনুপিস্থিতির সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার।

প্রথম দিন জেএসসিতে বাংলা প্রথমপত্র ও জেডিসিতে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং দ্বিতীয় দিন জেএসসিতে বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং জেডিসিতে আকাইদ ও ফিকহ বিষয়ের পরীক্ষা হয়।
বিগত বছরগুলোতেও দেখা যায় প্রথম দিনেই পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল অর্ধলাখ। তবে পরীক্ষার্থী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে অনুপস্থিতির হারও।

২০১৩ সালে প্রথম দিন জেএসসি-জেডিসিতে অনুপস্থিত ছিল ৫৯ হাজার ৫১৭ জন, ২০১৪ প্রথম দিন অনুপস্থিত ছিল ৪৬ হাজার, ২০১৫ সালে প্রথম দিন অনুপস্থিত ৪১ হাজার ৮০৯ জন এবং ২০১৬ সালে ৫৯ হাজার ৬৬১ জন পরীক্ষার্থী।

অষ্টমে ঝরে পড়ার কারণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো গবেষণা নেই বলে হাওর বার্তাকে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাহাবুবুর রহমান।

এবার জেএসসি-জেডিসির প্রথম দিনের থেকে দ্বিতীয় দিনে বেশি শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

২দিনে অনুপস্থিত ১ লাখ ২২ হাজার ঝরে পড়া নিয়ে উদ্বেগ

আপডেট টাইম : ০৫:১৯:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝরে পড়া রোধে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিলেও প্রতিবছর অষ্টম শ্রেণি পার করতে পারছে না লাখ লাখ শিক্ষার্থী। অষ্টম শ্রেণির জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করলেও এসব শিক্ষার্থীর কয়েক লাখ ঝরে যায় প্রতিবছর। চলতি বছরে প্রথম দুই পরীক্ষায় অনুপস্থিত প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার, যা উদ্বেগের।

বিনামূল্যে বই ও পড়াশোনার খরচ সরকার বহন করলেও ঝরে পড়ার কারণ অনুসন্ধান নিয়ে আদতে সরকারের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। আর এই ঝরে পড়াকে উদ্বেগজনক হিসেবেই দেখছেন শিক্ষাবিদরা।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড বলছে, ঝরে পড়া রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের জন্য একটি লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হবে।

চলতি বছরের অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার প্রথম দিন আটটি সাধারণ ও মাদরাসা বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ৬০ হাজার ৮৯৩ জন। দ্বিতীয় দিন এই সংখ্যা ৬১ হাজার ৯৮৯ জনে গিয়ে দাঁড়ায়। মাত্র দু’দিনেই অনুপিস্থিতির সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার।

প্রথম দিন জেএসসিতে বাংলা প্রথমপত্র ও জেডিসিতে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং দ্বিতীয় দিন জেএসসিতে বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং জেডিসিতে আকাইদ ও ফিকহ বিষয়ের পরীক্ষা হয়।
বিগত বছরগুলোতেও দেখা যায় প্রথম দিনেই পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল অর্ধলাখ। তবে পরীক্ষার্থী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে অনুপস্থিতির হারও।

২০১৩ সালে প্রথম দিন জেএসসি-জেডিসিতে অনুপস্থিত ছিল ৫৯ হাজার ৫১৭ জন, ২০১৪ প্রথম দিন অনুপস্থিত ছিল ৪৬ হাজার, ২০১৫ সালে প্রথম দিন অনুপস্থিত ৪১ হাজার ৮০৯ জন এবং ২০১৬ সালে ৫৯ হাজার ৬৬১ জন পরীক্ষার্থী।

অষ্টমে ঝরে পড়ার কারণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো গবেষণা নেই বলে হাওর বার্তাকে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাহাবুবুর রহমান।

এবার জেএসসি-জেডিসির প্রথম দিনের থেকে দ্বিতীয় দিনে বেশি শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।