ঢাকা ০৬:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কনকনে শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৭
  • ৪৩১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উত্তরের সীমান্ত জেলা দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত। হঠাৎ জেঁকে বসা শীতে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে দিন-মুজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের জীবন। দু’দিন থেকে ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ।

কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্য উদিত হলেও কমছে না শীতের প্রকোপ। শীতবস্ত্রের অভাবে শীতের প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে। লেপ তোশক বানানোর ধুম পড়েছে।

শীতের কারণে শিশুদের সর্দি-জ্বর, কোল্ড ডায়রিয়া, আমাশাসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্য উদিত হলেও কমছে না শীতের প্রকোপ।

ধান, ঘাস, ফুল, লতা-পাতাগুলো শিশিরে ভেজা থাকছে। সূর্যের আলোয় ঝিলিক মারছে শিশির ফোটা। সোমবার দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টির পর শুরু হয়েঠে এই হিমেল হাওয়া আর সন্ধে থেকে জেঁকে বসে কন কনে শীত। জেঁকে সবা কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বয়ষ্করা।

ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়ষ্করা। হাসপাতালে বেড়ে চলেছে শিশু ও বয়ষ্ক রোগী সংখ্যা। হঠাৎ শীতে শ্রমজীবী মানুষের বেড়েছে চরম দুর্দশা। ঠাণ্ডার কারণে ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না তারা। হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও রাস্তায় যানবাহন চালাতে হচ্ছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। এদিকে ধুম পড়েছে লেপ-তোশক তৈরির। এবার দাম বেড়েছে লেপ-তোশকের। সাধারণ মানুষের ক্রম ক্ষমতার বাইরে গেছে শীত নিবারণের বস্ত্র তৈরিতে। শীতের প্রকোপ থেকে রেহাই পেতে হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ এই মুহূর্তে শীতবস্ত্রের দাবি তুলেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কনকনে শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ

আপডেট টাইম : ১১:১২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উত্তরের সীমান্ত জেলা দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত। হঠাৎ জেঁকে বসা শীতে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে দিন-মুজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের জীবন। দু’দিন থেকে ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ।

কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্য উদিত হলেও কমছে না শীতের প্রকোপ। শীতবস্ত্রের অভাবে শীতের প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে। লেপ তোশক বানানোর ধুম পড়েছে।

শীতের কারণে শিশুদের সর্দি-জ্বর, কোল্ড ডায়রিয়া, আমাশাসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্য উদিত হলেও কমছে না শীতের প্রকোপ।

ধান, ঘাস, ফুল, লতা-পাতাগুলো শিশিরে ভেজা থাকছে। সূর্যের আলোয় ঝিলিক মারছে শিশির ফোটা। সোমবার দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টির পর শুরু হয়েঠে এই হিমেল হাওয়া আর সন্ধে থেকে জেঁকে বসে কন কনে শীত। জেঁকে সবা কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বয়ষ্করা।

ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়ষ্করা। হাসপাতালে বেড়ে চলেছে শিশু ও বয়ষ্ক রোগী সংখ্যা। হঠাৎ শীতে শ্রমজীবী মানুষের বেড়েছে চরম দুর্দশা। ঠাণ্ডার কারণে ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না তারা। হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও রাস্তায় যানবাহন চালাতে হচ্ছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। এদিকে ধুম পড়েছে লেপ-তোশক তৈরির। এবার দাম বেড়েছে লেপ-তোশকের। সাধারণ মানুষের ক্রম ক্ষমতার বাইরে গেছে শীত নিবারণের বস্ত্র তৈরিতে। শীতের প্রকোপ থেকে রেহাই পেতে হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ এই মুহূর্তে শীতবস্ত্রের দাবি তুলেছে।