ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক ৪৭০ ক্যাডার পদে নিয়োগ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০৯:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৭
  • ২২৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চৌত্রিশতম বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পাননি, তাদের মধ্যে থেকে ৪৭০ জনকে দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের ১২তম বেতন স্কেলে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদায়ন করে মঙ্গলবার আদেশ জারি করেছে। নিয়োগপ্রাপ্তদের ১৫ নভেম্বরের মধ্যে কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে, তা না হলে নিয়োগের আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে যোগদানপত্র দাখিল করতে হবে নিয়োগপ্রাপ্তদের। উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তা যোগদানপত্র নিয়ে তাকে প্রত্যয়নপত্র দেবেন। ওই প্রত্যয়নপত্র নিয়েই বিদ্যালয়ে যোগ দিতে হবে।

উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর দেয়া যোগদানের তারিখই শিক্ষকের চাকরিতে যোগদানের তারিখ হিসেবে গণ্য হবে।

প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগ দিয়ে দুই বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে জানিয়ে আদেশে বলা হয়, এই সময়ে অযোগ্য বিবেচিত হলে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই চাকরি থেকে অপসারণ করা যাবে।

বাংলাদেশের নাগরিক নন- এমন কাউকে বিয়ে করলে বা বিয়ের অঙ্গীকারাবব্ধ হলে এই নিয়োগ বাতিল বলে গণ্য হবে।

নিয়োগপ্রাপ্তদের তিন বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নেয়ার সময় বেঁধে দিয়ে আদেশে বলা হয়েছে, স্কুলে কোনো শিশুকে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা যাবে না, করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

৩৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পাননি, তাদের মধ্য থেকে ৮৯৮ জনকে গত বছরের ১০ অগাস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ‌্য পরীক্ষা এবং যথাযথ এজেন্সির মাধ্যমে প্রাক-নিয়োগ জীবন বৃত্তান্ত যাইয়ের পর তাদের মধ্যে থেকেই ৪৭০ জনকে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হল।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, পিএসসি ৮৯৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করলেও তাদের মধ্যে অনেকে অন্য চাকরিতে যোগ দিয়েছেন; কেউ কেউ আবার ১২তম বেতন স্কেলে চাকরি করবেন না বলে জানিয়েছিলেন।

বিসিএসে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে (যারা ক্যাডার পায়নি) দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিতে ২০১৪ সালের ১৬ জুন নন-ক্যাডার পদের নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে সরকার।

৩৪তম বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ৬ হাজার ৫৮৪ জন উত্তীর্ণ হলেও তাদের মধ্যে থেকে দুই হাজার ১৫৯ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করে বাকিদের নন-ক্যাডার পদের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সরকারি প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক ৪৭০ ক্যাডার পদে নিয়োগ

আপডেট টাইম : ০১:০৯:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চৌত্রিশতম বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পাননি, তাদের মধ্যে থেকে ৪৭০ জনকে দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের ১২তম বেতন স্কেলে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদায়ন করে মঙ্গলবার আদেশ জারি করেছে। নিয়োগপ্রাপ্তদের ১৫ নভেম্বরের মধ্যে কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে, তা না হলে নিয়োগের আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে যোগদানপত্র দাখিল করতে হবে নিয়োগপ্রাপ্তদের। উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তা যোগদানপত্র নিয়ে তাকে প্রত্যয়নপত্র দেবেন। ওই প্রত্যয়নপত্র নিয়েই বিদ্যালয়ে যোগ দিতে হবে।

উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর দেয়া যোগদানের তারিখই শিক্ষকের চাকরিতে যোগদানের তারিখ হিসেবে গণ্য হবে।

প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগ দিয়ে দুই বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে জানিয়ে আদেশে বলা হয়, এই সময়ে অযোগ্য বিবেচিত হলে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই চাকরি থেকে অপসারণ করা যাবে।

বাংলাদেশের নাগরিক নন- এমন কাউকে বিয়ে করলে বা বিয়ের অঙ্গীকারাবব্ধ হলে এই নিয়োগ বাতিল বলে গণ্য হবে।

নিয়োগপ্রাপ্তদের তিন বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নেয়ার সময় বেঁধে দিয়ে আদেশে বলা হয়েছে, স্কুলে কোনো শিশুকে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা যাবে না, করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

৩৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পাননি, তাদের মধ্য থেকে ৮৯৮ জনকে গত বছরের ১০ অগাস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ‌্য পরীক্ষা এবং যথাযথ এজেন্সির মাধ্যমে প্রাক-নিয়োগ জীবন বৃত্তান্ত যাইয়ের পর তাদের মধ্যে থেকেই ৪৭০ জনকে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হল।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, পিএসসি ৮৯৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করলেও তাদের মধ্যে অনেকে অন্য চাকরিতে যোগ দিয়েছেন; কেউ কেউ আবার ১২তম বেতন স্কেলে চাকরি করবেন না বলে জানিয়েছিলেন।

বিসিএসে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে (যারা ক্যাডার পায়নি) দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিতে ২০১৪ সালের ১৬ জুন নন-ক্যাডার পদের নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে সরকার।

৩৪তম বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ৬ হাজার ৫৮৪ জন উত্তীর্ণ হলেও তাদের মধ্যে থেকে দুই হাজার ১৫৯ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করে বাকিদের নন-ক্যাডার পদের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়।