ঢাকা ১২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

সুস্থ থাকার কিছু উপায়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৬৫৯ বার
হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভালো। শরীর সুস্থ রাখতে বাড়াতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। মানব শরীর এমনভাবে নকশা করা যাতে সে নিজেই সুস্থ হতে পারে। আর এই ক্ষমতার নাম ‘ইমিউনিটি’ বা প্রতিরোধ ক্ষমতা। এর মাধ্যমে যে কোনো অসুখ থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি শরীরকে বিভিন্নভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আর এ জন্য প্রয়োজন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।
ভিটামিন ডি : হাড় মজবুত করাসহ শরীরের নানা উপকার করে। সম্প্রতি জানা গেছে, শিশু, কিশোর, প্রাপ্ত বয়স্কসহ অনেকেই ভিটামিন ডি’র স্বল্পতায় ভুগছেন। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি না থাকলে তা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এমনকি ক্যানসার হতে পারে। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি অনেক রকম অসুখ হওয়া থেকে রক্ষা করে।
সকালের রোদ ভিটামিন ডির ভালো উৎস। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদে অতি বেগুনি রশ্মির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। মনে রাখা প্রয়োজন, অতিরিক্ত সানস্ক্রিন লোশন ত্বকে ভিটামিন ডির মাত্রা বাড়ানোর ক্ষমতা হ্রাস করে। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পেতে মাশরুম, ডিমের কুসুম, তৈলাক্ত মাছ ইত্যাদি খাওয়া প্রয়োজন।
রসুন বাড়ায় প্রতিরোধ ক্ষমতা : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খাবার হিসেবে সুপরিচিত। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নানা রকমের রোগের প্রতিকারক হিসেবেও অবদান রাখে।
‘গ্রিন টি’ ও ‘ক্যামোমাইল টি’: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ এসব ভেষজ চা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অসুস্থতা থেকে দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করে।
তবে মনে রাখবেন, আপনি যে ধরনের চা খান না কেনো তা যেন সম্পূর্ণ পাতা বিশিষ্ট হয়। যেখানে আপনি গোটা পাতা দেখতে পাবেন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রয়োজনীয়তা : মানবদেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বীজজাতীয় খাবার যেমন- সুর্যমুখী এবং কুমড়ার বীজ নানা রকম পুষ্টি উপাদানে ভরপুর যা কোষ সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়।
হালকা ব্যায়াম : শরীর ভালো না থাকলে ভারী পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন। তবে এই সময় হালকা শরীরচর্চা করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। শরীরে খুব বেশি চাপ পড়ে না এমন ব্যায়াম করুন। এক্ষেত্রে বাইরে খোলা বাতাসে হাঁটতে যাওয়া বা যোগ ব্যায়াম ফলপ্রসু।
চর্বিযুক্ত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন : বাড়তি ওজন কমানো যদি মূল লক্ষ্য হয় তাহলে অস্বাস্থ্যকর ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এটি লক্ষ্য পূরণে অনেকটা সহায়তা করবে।
যথেষ্ট বিশ্রাম নিন : সুস্বাস্থ্য পেতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। নির্বিঘ্ন ও পর্যাপ্ত ঘুম উত্তম রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নিশ্চিত করে।
খাদ্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরালো করে : ‘কম্বুচা’ এক ধরনের গাঁজানো চা- যা শরীরের ক্ষতিকারক জীবাণু ধ্বংস করতে অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন করে।
এই চা তৈরি করতে ব্যাকটেরিয়া, চিনির খামি এবং ‘ব্ল্যাক’ বা ‘গ্রিন টি’ ব্যবহার করে তা গাঁজানো হয়। উন্নত প্রোবায়োটিক্স ও কেফার হজম ক্রিয়া উন্নত করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ৯৯ শতাংশ ল্যাক্টোজ বিহীন। গাঁজান খাবার যেমন- দই, প্রোবায়োটিক উপাদান সমৃদ্ধ। অ্যাপল সাইডার ভিনিগার প্রি-বায়োটিক হিসেবে কাজ করে যা হজম প্রক্রিয়ায় প্রোবায়োটিক্স তৈরিতে সহায়তা করে।
মনে রাখা প্রয়োজন যে, অতিরিক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে শরীরে ভিটামিন ডি বৃদ্ধি করার ক্ষমতা কমে যায়।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

সুস্থ থাকার কিছু উপায়

আপডেট টাইম : ০৮:৩১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভালো। শরীর সুস্থ রাখতে বাড়াতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। মানব শরীর এমনভাবে নকশা করা যাতে সে নিজেই সুস্থ হতে পারে। আর এই ক্ষমতার নাম ‘ইমিউনিটি’ বা প্রতিরোধ ক্ষমতা। এর মাধ্যমে যে কোনো অসুখ থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি শরীরকে বিভিন্নভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আর এ জন্য প্রয়োজন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।
ভিটামিন ডি : হাড় মজবুত করাসহ শরীরের নানা উপকার করে। সম্প্রতি জানা গেছে, শিশু, কিশোর, প্রাপ্ত বয়স্কসহ অনেকেই ভিটামিন ডি’র স্বল্পতায় ভুগছেন। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি না থাকলে তা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এমনকি ক্যানসার হতে পারে। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি অনেক রকম অসুখ হওয়া থেকে রক্ষা করে।
সকালের রোদ ভিটামিন ডির ভালো উৎস। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদে অতি বেগুনি রশ্মির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। মনে রাখা প্রয়োজন, অতিরিক্ত সানস্ক্রিন লোশন ত্বকে ভিটামিন ডির মাত্রা বাড়ানোর ক্ষমতা হ্রাস করে। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পেতে মাশরুম, ডিমের কুসুম, তৈলাক্ত মাছ ইত্যাদি খাওয়া প্রয়োজন।
রসুন বাড়ায় প্রতিরোধ ক্ষমতা : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খাবার হিসেবে সুপরিচিত। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নানা রকমের রোগের প্রতিকারক হিসেবেও অবদান রাখে।
‘গ্রিন টি’ ও ‘ক্যামোমাইল টি’: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ এসব ভেষজ চা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অসুস্থতা থেকে দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করে।
তবে মনে রাখবেন, আপনি যে ধরনের চা খান না কেনো তা যেন সম্পূর্ণ পাতা বিশিষ্ট হয়। যেখানে আপনি গোটা পাতা দেখতে পাবেন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রয়োজনীয়তা : মানবদেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বীজজাতীয় খাবার যেমন- সুর্যমুখী এবং কুমড়ার বীজ নানা রকম পুষ্টি উপাদানে ভরপুর যা কোষ সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়।
হালকা ব্যায়াম : শরীর ভালো না থাকলে ভারী পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন। তবে এই সময় হালকা শরীরচর্চা করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। শরীরে খুব বেশি চাপ পড়ে না এমন ব্যায়াম করুন। এক্ষেত্রে বাইরে খোলা বাতাসে হাঁটতে যাওয়া বা যোগ ব্যায়াম ফলপ্রসু।
চর্বিযুক্ত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন : বাড়তি ওজন কমানো যদি মূল লক্ষ্য হয় তাহলে অস্বাস্থ্যকর ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এটি লক্ষ্য পূরণে অনেকটা সহায়তা করবে।
যথেষ্ট বিশ্রাম নিন : সুস্বাস্থ্য পেতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। নির্বিঘ্ন ও পর্যাপ্ত ঘুম উত্তম রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নিশ্চিত করে।
খাদ্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরালো করে : ‘কম্বুচা’ এক ধরনের গাঁজানো চা- যা শরীরের ক্ষতিকারক জীবাণু ধ্বংস করতে অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন করে।
এই চা তৈরি করতে ব্যাকটেরিয়া, চিনির খামি এবং ‘ব্ল্যাক’ বা ‘গ্রিন টি’ ব্যবহার করে তা গাঁজানো হয়। উন্নত প্রোবায়োটিক্স ও কেফার হজম ক্রিয়া উন্নত করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ৯৯ শতাংশ ল্যাক্টোজ বিহীন। গাঁজান খাবার যেমন- দই, প্রোবায়োটিক উপাদান সমৃদ্ধ। অ্যাপল সাইডার ভিনিগার প্রি-বায়োটিক হিসেবে কাজ করে যা হজম প্রক্রিয়ায় প্রোবায়োটিক্স তৈরিতে সহায়তা করে।
মনে রাখা প্রয়োজন যে, অতিরিক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে শরীরে ভিটামিন ডি বৃদ্ধি করার ক্ষমতা কমে যায়।