ঢাকা ০৭:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শামীম এখন পাঁচ শতাধিক হাঁসের মালিক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:২৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৫
  • ৩৩৭ বার

শামীমের বয়স মাত্র ২১। শামীম পাঁচ থেকে এখন পাঁচ শতাধিক হাঁসের মালিক। পটুয়াখালী জেলার নব্য উপজেলা রাঙ্গাবালীর ছোট বাইজদা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ মিজানুর রহমানের মেঝ ছেলে এই শামীম।

শামীমের বয়স যখন দশ বছর তখন থেকেই সে হাঁস পালন শুরু। দেশীয় প্রজাতির মাত্র পাঁচটি হাঁস নিয়ে শামীমের সেই যে যাত্রা শুরু, তা বেড়ে খামার হয়েছে। সে খামারে বর্তমানে পাঁচ শতাধিক হাঁস রয়েছে।

শামীমের এ খামারটি ভ্রাম্যমান। কখনও কোথাও বেড়াতে গেলে সঙ্গে হাঁসগুলোকেও নিয়ে যায় শামীম। এ বছর বর্ষা মৌসুমের প্রথম দিকে শামীম তার নিজস্ব এলাকা ছেড়ে খামারটি নিয়ে পাড়ি জমিয়েছে গলাচিপায়। গলাচিপার শিয়ারীর ব্রিজ এলাকায় একটি আত্মীয়র বাড়িতে বর্তমানে তার খামারে অবস্থান। বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই আবার নিজ এলাকাতেই ফিরে আসবেন শামীম। হাঁসের খাবারের সুবিধার্থেই এই স্থানবদল তার।

তার খামারের সব হাঁসই দেশীয় প্রজাতির। বছরে অন্তত ৬ থেকে ৭ মাস ডিম দিয়ে থাকে বলে জানান শামীম। প্রতিদিন খামার থেকে প্রায় সাড়ে চার শ ডিম উৎপাদন হয়। প্রতি মাসে খামার থেকে শামীমের আয় হয় এক লাখ টাকারও বেশি। খামারে প্রতিমাসে খরচ হয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। তাতে সব খরচ পুষিয়েও শামীমের প্রতি বছর ভালো আয় হয়।

শামীম জানান, ভ্রাম্যমাণ খামারের আয়ে তিনি সংসারের হাল ধরেছেন। শুধু তাই নয়, এই আয়ে তিনি একটি সুন্দর বাড়িও বানিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শামীম এখন পাঁচ শতাধিক হাঁসের মালিক

আপডেট টাইম : ০৯:২৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৫

শামীমের বয়স মাত্র ২১। শামীম পাঁচ থেকে এখন পাঁচ শতাধিক হাঁসের মালিক। পটুয়াখালী জেলার নব্য উপজেলা রাঙ্গাবালীর ছোট বাইজদা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ মিজানুর রহমানের মেঝ ছেলে এই শামীম।

শামীমের বয়স যখন দশ বছর তখন থেকেই সে হাঁস পালন শুরু। দেশীয় প্রজাতির মাত্র পাঁচটি হাঁস নিয়ে শামীমের সেই যে যাত্রা শুরু, তা বেড়ে খামার হয়েছে। সে খামারে বর্তমানে পাঁচ শতাধিক হাঁস রয়েছে।

শামীমের এ খামারটি ভ্রাম্যমান। কখনও কোথাও বেড়াতে গেলে সঙ্গে হাঁসগুলোকেও নিয়ে যায় শামীম। এ বছর বর্ষা মৌসুমের প্রথম দিকে শামীম তার নিজস্ব এলাকা ছেড়ে খামারটি নিয়ে পাড়ি জমিয়েছে গলাচিপায়। গলাচিপার শিয়ারীর ব্রিজ এলাকায় একটি আত্মীয়র বাড়িতে বর্তমানে তার খামারে অবস্থান। বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই আবার নিজ এলাকাতেই ফিরে আসবেন শামীম। হাঁসের খাবারের সুবিধার্থেই এই স্থানবদল তার।

তার খামারের সব হাঁসই দেশীয় প্রজাতির। বছরে অন্তত ৬ থেকে ৭ মাস ডিম দিয়ে থাকে বলে জানান শামীম। প্রতিদিন খামার থেকে প্রায় সাড়ে চার শ ডিম উৎপাদন হয়। প্রতি মাসে খামার থেকে শামীমের আয় হয় এক লাখ টাকারও বেশি। খামারে প্রতিমাসে খরচ হয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। তাতে সব খরচ পুষিয়েও শামীমের প্রতি বছর ভালো আয় হয়।

শামীম জানান, ভ্রাম্যমাণ খামারের আয়ে তিনি সংসারের হাল ধরেছেন। শুধু তাই নয়, এই আয়ে তিনি একটি সুন্দর বাড়িও বানিয়েছেন।