ঢাকা ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষকের স্কেলের আঘাতে চোখের আলো নিভলো স্কুলছাত্রীর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৭
  • ২৯৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলা শিক্ষকের স্কেলের আঘাতে মারিয়াতুছ ফোয়ারা নামে এক স্কুলছাত্রীর চোখের আলো নিভে গেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, তার বাম চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেছে। মারিয়াতুছ ফোয়ারা শৈলকুপার দিগনগর মনতেজার রহমান মিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ও দহকোলা গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে। তাকে ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত শৈলকুপা উপজেলার দিগনগর মনতেজার রহমান মিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মো. মুরাদ হোসেনকে বুধবার গ্রেপ্তার করে আদালত মাধ্যম কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।  শৈলকুপা থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন জানান, গত ১৮ই আগস্ট সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দিগনগর মনতেজার রহমান মিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মো. মুরাদ হোসেন ষষ্ঠ শ্রেণিতে ক্লাস নেয়ার সময় ওই ছাত্রীকে স্টিলের স্কেল দিয়ে আঘাত করেন। স্কেলের আঘাত তার বাম চোখে লাগে এবং কেটে রক্ত বের হতে থাকে। তিনি আরো জানান ওইদিন, বেলা অনুমান ২টার দিকে ঝিনাইদহ জেলা শহরের গোরস্তানের সামনে দীপ শিক্ষা অনির্বাণ চক্ষু ক্লিনিকে নেয়া হলে তাকে আগস্ট মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করা হয়। মারিয়াতুছ ফোয়ারা এখন চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ৫৩৭ নং বেডে চিকিৎসা নিচ্ছে। তার ভর্তি রেজি নং ৭০১। ওসি আরা জানান, এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৪। শিক্ষক মুরাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে বুধবার তাকে ঝিনাইদহ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনার দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করেছন শৈলকুপা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আক্কাচ আলী। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন আহম্মদ সেলিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আহত ছাত্রীর বাবা হতদরিদ্র। তার দুই মেয়ে। আহত ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি তদন্তে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মিজানুর রহমানকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পিতা শরিফুল ইসলাম জানান, মেয়ের চোখ ভালো করতে বিদেশে নিতে হবে। ইতিমধ্যে তার চোখের কর্ণিয়া নষ্ট হয়ে গেছে বলে ডাক্তাররা আশঙ্কা করেছেন। চোখের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা লাগবে, কিন্তু সে সমর্থ তার নেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শিক্ষকের স্কেলের আঘাতে চোখের আলো নিভলো স্কুলছাত্রীর

আপডেট টাইম : ০৩:৫১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলা শিক্ষকের স্কেলের আঘাতে মারিয়াতুছ ফোয়ারা নামে এক স্কুলছাত্রীর চোখের আলো নিভে গেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, তার বাম চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেছে। মারিয়াতুছ ফোয়ারা শৈলকুপার দিগনগর মনতেজার রহমান মিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ও দহকোলা গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে। তাকে ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত শৈলকুপা উপজেলার দিগনগর মনতেজার রহমান মিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মো. মুরাদ হোসেনকে বুধবার গ্রেপ্তার করে আদালত মাধ্যম কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।  শৈলকুপা থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন জানান, গত ১৮ই আগস্ট সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দিগনগর মনতেজার রহমান মিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মো. মুরাদ হোসেন ষষ্ঠ শ্রেণিতে ক্লাস নেয়ার সময় ওই ছাত্রীকে স্টিলের স্কেল দিয়ে আঘাত করেন। স্কেলের আঘাত তার বাম চোখে লাগে এবং কেটে রক্ত বের হতে থাকে। তিনি আরো জানান ওইদিন, বেলা অনুমান ২টার দিকে ঝিনাইদহ জেলা শহরের গোরস্তানের সামনে দীপ শিক্ষা অনির্বাণ চক্ষু ক্লিনিকে নেয়া হলে তাকে আগস্ট মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করা হয়। মারিয়াতুছ ফোয়ারা এখন চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ৫৩৭ নং বেডে চিকিৎসা নিচ্ছে। তার ভর্তি রেজি নং ৭০১। ওসি আরা জানান, এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৪। শিক্ষক মুরাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে বুধবার তাকে ঝিনাইদহ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনার দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করেছন শৈলকুপা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আক্কাচ আলী। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন আহম্মদ সেলিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আহত ছাত্রীর বাবা হতদরিদ্র। তার দুই মেয়ে। আহত ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি তদন্তে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মিজানুর রহমানকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পিতা শরিফুল ইসলাম জানান, মেয়ের চোখ ভালো করতে বিদেশে নিতে হবে। ইতিমধ্যে তার চোখের কর্ণিয়া নষ্ট হয়ে গেছে বলে ডাক্তাররা আশঙ্কা করেছেন। চোখের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা লাগবে, কিন্তু সে সমর্থ তার নেই।