হাওর বার্তা ডেস্কঃ পার্লামেন্ট কক্ষে বসে সন্তানকে বুকের দুধ পান করিয়ে আলোচনায় আসা অস্ট্রেলিয়ার সেই নারী সিনেটর থেকে পদত্যাগ করেছেন।সেই সিনেটরের নাম হলো লারিসা ওয়াটার্স। দ্বৈত নাগরিকত্ব ধারণ করায় তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার গ্রিনস পার্টির এই সিনেটরের জন্ম কানাডায়।জন্মসূত্রে তিনি কানাডিয়ান নাগরিক।
অস্ট্রেলিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, দ্বৈত বা বহু নাগরিকত্ব ধারণকারী ব্যক্তি কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো পদে নির্বাচন করতে পারবেন না। এ ধরনের পদে বহাল থাকারও কোনো সুযোগ নেই। ফলে পদত্যাগ করতে হয়েছে লারিসা ওয়াটার্সকে।
দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় শুক্রবার গ্রিনস পার্টির আরেক সিনেটর স্কট লুডলাম পদত্যাগ করেন। লারিসা ওয়াটার্স ও লুডলাম উভয়ে গ্রিনস পার্টির উপ-প্রধান।
মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে সন্তানকে বুকের দুধ পান করানো প্রথম রাজনীতিক হিসেবে বিশ্বের নজর কাড়েন লারিসা ওয়াটার্স।
দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে ওয়াটার্স জানিয়েছেন, বিষয়টি তার ঠিক জানা ছিল না। সিনেটর লুডলামের পদত্যাগের ঘটনার পর জানতে পারেন, তিনিও দ্বৈত নাগরিকত্ব ধারণ করছেন। লুডলামও সম্প্রতি জানতে পারেন, তিনি নিউ জিল্যান্ডেরও নাগিরক।
আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে কান্না চেপে ওয়াটার্স দাবি করেন, তার ভুল হয়েছে কিন্তু তিনি সৎ। প্রায় ৪০ বছর আগে যখন তার বাবা-মা তাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১১ মাস। ফলে এ বিষয়ে তার কিছু করার ছিল না।
লারিসা ওয়াটার্স সিনেটর পদে প্রথম নির্বাচিত হন ২০১১ সালে। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে সব দায়-দায়িত্ব নেবেন তিনি। তবে সিনেটর হিসেবে এতদিন তিনি যে ভাতা ও সুবিধা নিয়েছেন, তা ফিরিয়ে দেবেন কিনা অথবা তাকে তা ফিরিয়ে দিতে হবে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়লে তিনি তা মোকাবিলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
গ্রিনস পার্টির নেতা রিচার্ড ডি নাটালে বলেছেন, ওয়াটার্সের পদত্যাগের ঘটনায় তিনি খুবই মর্মাহত। অস্ট্রেলিয়ার জন্য তিনি অনেক অবদান রেখেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, কোনো রাজনীতিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইলে নির্বাচনের আগেই তাকে বিদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হয়।