ঢাকা ০৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা ঠেকাতে ‘বিশেষ এলাকার’ পরিধি বাড়লো

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:০৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭
  • ২৭৫ বার
হাওর বার্তা ডেস্কঃ  ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিশেষ এলাকার পরিধি বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগে ২০টি উপজেলাকে বিশেষ এলাকায় অন্তর্ভূক্ত করা হলেও এবার আরো ১০টি উপজেলা বাড়িয়ে ৩০টি উপজেলাকে বিশেষ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে ৩০ উপজেলায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এসব বিশেষ এলাকায় ভোটার হতে হলে আত্মীয় স্বজন বিশেষ করে বাবা-মা, ফুফু, চাচার জাতীয় পরিচয়পত্র  লাগবে।
সোমবার দুপুরে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয় সভা শেষে ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের এতথ্য জানান।
তিনি জানান, বিশেষ এলাকা এর আগে ২০টি উপজেলা ছিল। এবার আরও ১০টি এলাকা চিহ্নিত করেছি। এই ৩০টি এলাকার জন্য বিশেষ কমিটি রয়েছে। রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার প্রবণতা রোধে এসব বিশেষ এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা প্রবেশের বিষয়ে সচিব বলেন, ‌‌বিশেষ এলাকার যে কার্য পরিধি আছে সেখানে কমিটির কাজ নির্ধারিত করা আছে। বিদেশি নাগিরকরা  যাতে ভোটার অন্তর্ভূক্ত হতে না পারে সে বিষয়ে তারা পদক্ষেপ নিতে পারেন। বিশেষ এলাকায় ভোটার হতে চাইলে কমিটি ভোটারের বাবা-মার আইডি দেখবে, ফুফু-চাচার আইডি দেখবে। এসব না থাকলে বা বিদেশি নাগরিক প্রমাণ পেলে কোনো লোক ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারবে না।
২৫ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ কাজ শুরু হবে। যাদের বয়স ১ জানুয়ারি ২০০০ বা তার আগে অর্থাত্ ১ জানুয়ারি তাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে এবার তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তথ্য সংগ্রহের পর তিনটি ধাপে ডিসেম্বরের মধ্যে নাগরিকদের ছবি ও তথ্য নিবন্ধন করা হবে। ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। হালনাগাদে ঠিকানা স্থানান্তর ও মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেয়া হবে। তবে তথ্য হালনাগাদে নাম সংশোধনের বিষয়টি রাখা হয়নি। নাম বা অন্য যেকোনো সংশোধনের জন্য যেকোনো দিন নির্বাচন অফিসে যেতে হবে। আর এটা সারাবছরই করা যাবে।

তিনি জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদনের জন্য সাত পর্যায়ে সাত ধরণের কমিটি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটি, বিভাগীয় কমিটি, জেলা, উপজেলা, বিশেষ এলাকার জন্য আদালা কমিটি, সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য কমিটি, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার জন্য কমিটি আছে। এবারের ভোটার তালিকায় বাদ পড়া ৩৫ লাখ ভোটারকে অন্তর্ভূক্ত করা হতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা ঠেকাতে ‘বিশেষ এলাকার’ পরিধি বাড়লো

আপডেট টাইম : ০৮:০৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭
হাওর বার্তা ডেস্কঃ  ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিশেষ এলাকার পরিধি বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগে ২০টি উপজেলাকে বিশেষ এলাকায় অন্তর্ভূক্ত করা হলেও এবার আরো ১০টি উপজেলা বাড়িয়ে ৩০টি উপজেলাকে বিশেষ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে ৩০ উপজেলায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এসব বিশেষ এলাকায় ভোটার হতে হলে আত্মীয় স্বজন বিশেষ করে বাবা-মা, ফুফু, চাচার জাতীয় পরিচয়পত্র  লাগবে।
সোমবার দুপুরে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয় সভা শেষে ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের এতথ্য জানান।
তিনি জানান, বিশেষ এলাকা এর আগে ২০টি উপজেলা ছিল। এবার আরও ১০টি এলাকা চিহ্নিত করেছি। এই ৩০টি এলাকার জন্য বিশেষ কমিটি রয়েছে। রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার প্রবণতা রোধে এসব বিশেষ এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা প্রবেশের বিষয়ে সচিব বলেন, ‌‌বিশেষ এলাকার যে কার্য পরিধি আছে সেখানে কমিটির কাজ নির্ধারিত করা আছে। বিদেশি নাগিরকরা  যাতে ভোটার অন্তর্ভূক্ত হতে না পারে সে বিষয়ে তারা পদক্ষেপ নিতে পারেন। বিশেষ এলাকায় ভোটার হতে চাইলে কমিটি ভোটারের বাবা-মার আইডি দেখবে, ফুফু-চাচার আইডি দেখবে। এসব না থাকলে বা বিদেশি নাগরিক প্রমাণ পেলে কোনো লোক ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারবে না।
২৫ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ কাজ শুরু হবে। যাদের বয়স ১ জানুয়ারি ২০০০ বা তার আগে অর্থাত্ ১ জানুয়ারি তাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে এবার তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তথ্য সংগ্রহের পর তিনটি ধাপে ডিসেম্বরের মধ্যে নাগরিকদের ছবি ও তথ্য নিবন্ধন করা হবে। ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। হালনাগাদে ঠিকানা স্থানান্তর ও মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেয়া হবে। তবে তথ্য হালনাগাদে নাম সংশোধনের বিষয়টি রাখা হয়নি। নাম বা অন্য যেকোনো সংশোধনের জন্য যেকোনো দিন নির্বাচন অফিসে যেতে হবে। আর এটা সারাবছরই করা যাবে।

তিনি জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদনের জন্য সাত পর্যায়ে সাত ধরণের কমিটি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটি, বিভাগীয় কমিটি, জেলা, উপজেলা, বিশেষ এলাকার জন্য আদালা কমিটি, সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য কমিটি, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার জন্য কমিটি আছে। এবারের ভোটার তালিকায় বাদ পড়া ৩৫ লাখ ভোটারকে অন্তর্ভূক্ত করা হতে পারে।