হাওর বার্তা নিউজঃ ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন মিশনগুলোতে নিয়োগ পাওয়া বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা এখন থেকে আর গৃহকর্মী নিতে পারবেন না। এনিয়ে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। তবে মিশন প্রধানে জন্য লোকাল (হোস্ট কান্ট্রি থেকে) একজন পাচক নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানান, নিউইয়র্কে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কূটনীতিকদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এখন থেকে বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোর প্রধানদের জন্য স্থায়ীভাবে পাচক নিয়োগের প্রস্তাবটি জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তা অনুমোদন হলে বিদেশি মিশনগুলোতে স্থানীয়ভাবে ওই পদে লোক নিয়োগ করা হবে।
গত মাসে শ্রমিক পাচার, গৃহকর্মীকে নির্যাতন ও ভয় দেখিয়ে বিনা বেতনে কাজ করানোর অভিযোগে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের উপ কনসাল জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে মুচলেকা দিয়ে তিনি মুক্তি পান।
রাজনৈতিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শাহেদুল ইসলাম কূটনৈতিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেলেও ‘কূটনৈতিক দায়মুক্তি’র অধিকারী না হওয়ায় গ্রেপ্তার এড়াতে পারেননি। তাই কূটনৈতিক দায়মুক্তির সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার মুক্তির পর শাহেদুল ইসলামকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে বদলি করে। কিন্ত সেখানেও তার কূটনৈতিক দায়মুক্তি পাওয়া অনিশ্চিত। তার পাসপোর্ট আদালত জব্দ করে রেখেছে। মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে যুক্তরাষ্ট্রেই থাকতে হবে।
এ ঘটনার কয়েক দিন পর জাতিসংঘে কর্মরত বাংলাদেশের কূটনীতিক হামিদ রশিদের বিরুদ্ধে শ্রমিক নির্যাতন ও বেতন কম দেওয়ার অভিযোগ আনেন তাঁর গৃহকর্মী। একই ধরনের অভিযোগে ২০১৪ সালে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের তখনকার কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলার নোটিশ দেওয়ার মাঝপথে তিনি নিউইয়র্ক ছেড়ে যান। তবে তার অভিযোগ এখনও নিস্পত্তি হয়নি।