ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রাফিক পুলিশের যোগ্যতা : হতে হবে সুন্দরী, অবিবাহিতা তরুণী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০১:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০১৭
  • ২৬৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ট্রাফিক পুলিশের চাকরির জন্য অন্যতম যোগ্যতা সুন্দর মুখ! বয়সেও হতে হবে একেবারে তরুণী। তবেই চাকরি মিলবে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের ট্রাফিক বিভাগে।
পুরুষদেরও নেওয়া হয়। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে এত কড়াকড়ি নেই। শুধু তাই নয়, মেনে চলতে হয় আরও কিছু অদ্ভুত নিয়ম।

উত্তর কোরিয়া বললেই সবার মনে ভেসে ওঠে কিম জং-উনের মুখ। খামখেয়ালি এই শাসকের অদ্ভুত সব কাণ্ডকারখানা সারা পৃথিবীর মানুষেরই জানা। দেশের শাসকের আচরণের মতোই অদ্ভুত সে দেশের ট্রাফিক বিভাগে মেয়েদের চাকরির শর্ত।

প্রথমত, সেই মেয়েটিকে হতে হবে সুন্দরী। এ ব্যাপারে কোনো আপস করা হয় না। দ্বিতীয়ত, ২৬ বছরেই অবসর নিতে হবে। তৃতীয়ত, চাকরিতে থাকাকালীন বিয়েও

করা চলবে না। যদি কেউ বিয়ে করেন, তা হলে তৎক্ষণাৎ তাকে বরখাস্ত করা হবে।  তা ছাড়া বেঁধে দেওয়া আরও নিয়মকানুন আছে, যেগুলি মেনে চলতে হবে চাকরি করার সময়।

কোরিয়ায় বেড়াতে যাওয়া পর্যটক আর সাংবাদিকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ এই সুন্দরী ট্রাফিক লেডিরা। পিয়ংইয়ংয়ের রাস্তায় ৩০০ ট্রাফিক লেডি দেখা যায়।  তাদের পরনে থাকে নীল উর্দি আর কালো হিলের জুতো।

বলতে গেলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করা এই মেয়েরা যেন দেশটির ‘মুখ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজের হিসেবে তারা ট্রাফিক সুরক্ষা অধিকারী হিসেবে পরিচিত হলেও ট্রাফিক লেডি হিসেবেই তাদের চেনে গোটা পৃথিবী।

সেই কারণেই উত্তর কোরিয়ার প্রশাসন এই মেয়েদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর রাখে। পরমাণু শক্তিধর যুদ্ধপাগল দেশের এক অন্য ‘মুখ’ দুনিয়ার কাছে তুলে ধরতেই এমন পরিকল্পনা। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদেরও নিয়োগ করা হয় ট্রাফিকের কাজে। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে এমন কোনও নিয়মের ঘেরাটোপ নেই। পিয়ং ইয়ংয়ের পুরুষ ট্রাফিক কর্মীদের সংখ্যা ৪০০।

স্কোয়াডের এক সিনিয়র ক্যাপ্টেন রি মিয়ং সিম নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেছেন, কঠোর অনুশাসনের মধ্যে কাজ করতে হয়। কাজে ঢোকার আগে ট্রেনিংও বেশ কঠিন।

যারা কাজ করেন তারা জানেন অন্য সমস্ত আধিকারিক ও সর্বোপরি দেশের শাসক সব সময় তাদের উপর কঠোর নজরদারি চালাচ্ছেন। এর পরেই তার সতর্ক উত্তর, “আমাদের মহান নেতা কিম জং-উন সব সময় আমাদের সঙ্গে আছেন। ”

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাফিক পুলিশের যোগ্যতা : হতে হবে সুন্দরী, অবিবাহিতা তরুণী

আপডেট টাইম : ১২:০১:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ট্রাফিক পুলিশের চাকরির জন্য অন্যতম যোগ্যতা সুন্দর মুখ! বয়সেও হতে হবে একেবারে তরুণী। তবেই চাকরি মিলবে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের ট্রাফিক বিভাগে।
পুরুষদেরও নেওয়া হয়। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে এত কড়াকড়ি নেই। শুধু তাই নয়, মেনে চলতে হয় আরও কিছু অদ্ভুত নিয়ম।

উত্তর কোরিয়া বললেই সবার মনে ভেসে ওঠে কিম জং-উনের মুখ। খামখেয়ালি এই শাসকের অদ্ভুত সব কাণ্ডকারখানা সারা পৃথিবীর মানুষেরই জানা। দেশের শাসকের আচরণের মতোই অদ্ভুত সে দেশের ট্রাফিক বিভাগে মেয়েদের চাকরির শর্ত।

প্রথমত, সেই মেয়েটিকে হতে হবে সুন্দরী। এ ব্যাপারে কোনো আপস করা হয় না। দ্বিতীয়ত, ২৬ বছরেই অবসর নিতে হবে। তৃতীয়ত, চাকরিতে থাকাকালীন বিয়েও

করা চলবে না। যদি কেউ বিয়ে করেন, তা হলে তৎক্ষণাৎ তাকে বরখাস্ত করা হবে।  তা ছাড়া বেঁধে দেওয়া আরও নিয়মকানুন আছে, যেগুলি মেনে চলতে হবে চাকরি করার সময়।

কোরিয়ায় বেড়াতে যাওয়া পর্যটক আর সাংবাদিকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ এই সুন্দরী ট্রাফিক লেডিরা। পিয়ংইয়ংয়ের রাস্তায় ৩০০ ট্রাফিক লেডি দেখা যায়।  তাদের পরনে থাকে নীল উর্দি আর কালো হিলের জুতো।

বলতে গেলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করা এই মেয়েরা যেন দেশটির ‘মুখ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজের হিসেবে তারা ট্রাফিক সুরক্ষা অধিকারী হিসেবে পরিচিত হলেও ট্রাফিক লেডি হিসেবেই তাদের চেনে গোটা পৃথিবী।

সেই কারণেই উত্তর কোরিয়ার প্রশাসন এই মেয়েদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর রাখে। পরমাণু শক্তিধর যুদ্ধপাগল দেশের এক অন্য ‘মুখ’ দুনিয়ার কাছে তুলে ধরতেই এমন পরিকল্পনা। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদেরও নিয়োগ করা হয় ট্রাফিকের কাজে। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে এমন কোনও নিয়মের ঘেরাটোপ নেই। পিয়ং ইয়ংয়ের পুরুষ ট্রাফিক কর্মীদের সংখ্যা ৪০০।

স্কোয়াডের এক সিনিয়র ক্যাপ্টেন রি মিয়ং সিম নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেছেন, কঠোর অনুশাসনের মধ্যে কাজ করতে হয়। কাজে ঢোকার আগে ট্রেনিংও বেশ কঠিন।

যারা কাজ করেন তারা জানেন অন্য সমস্ত আধিকারিক ও সর্বোপরি দেশের শাসক সব সময় তাদের উপর কঠোর নজরদারি চালাচ্ছেন। এর পরেই তার সতর্ক উত্তর, “আমাদের মহান নেতা কিম জং-উন সব সময় আমাদের সঙ্গে আছেন। ”