ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাতৃদুগ্ধ দানবান্ধব কর্মক্ষেত্র তৈরির উপর গুরুত্বরোপ রাষ্ট্রপতির

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৪:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ অগাস্ট ২০১৫
  • ৩৬৩ বার

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালনের সার্থকতা অর্জনে সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে মাতৃদুগ্ধদান কক্ষ, কাজের ফাঁকে মাতৃদুগ্ধ দানের বিরতি প্রদান ও মাতৃদুগ্ধ দানবান্ধব কর্মক্ষেত্র তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
রাষ্ট্রপতি আজ বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশার কথা বলেন । আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সরকারিভাবে বাংলাদেশে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে এবং এই আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পুষ্টি সেবা এবং বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি ।
এবারের বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘কাজের মাঝে শিশু করবে মায়ের দুধ পান, সবাই মিলে সবখানে করি সমাধান’ যথাযথ হয়েছে বলেমন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি আশা করেন এবারের প্রতিপাদ্য মায়েদেরকে মাতৃদুগ্ধ পানে সচেতন ও উৎসাহিত করবে।
বাণীতে তিনি বলেন,মায়ের দুধ পানের সঠিক প্রচার ও প্রসারের ফলে বাংলাদেশে বর্তমানে জন্মের ১ ঘন্টার মধ্যে শিশুকে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর হার ৫৭ ভাগ। শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার ৫৫ এবং ২ বছর পর্যন্ত শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার ৯০ভাগে উন্নীত হয়েছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
এ ছাড়াও ৫ বছর বয়সের নিচে শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৪৬ এবং খর্বকায় শিশুর হার ৩৬ এ নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। সরকারের সময়োপযোগী এবং কার্যকর পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অতি সন্নিকটে পৌঁছে গেছে বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন।
আবদুল হামিদ বলেন ,স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ক্ষেত্রে মায়ের দুধ খাওয়ানোকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। কর্মস্থলে মা শিশুকে দুধ দান করতে পারলে এবং ঘরের তৈরি খাবার দিতে পারলে শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হবে এবং মা উৎসাহ নিয়ে কাজ করতে পারবেন। এতে কর্মক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং জাতীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে
রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০১৫’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মকাণ্ডের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মাতৃদুগ্ধ দানবান্ধব কর্মক্ষেত্র তৈরির উপর গুরুত্বরোপ রাষ্ট্রপতির

আপডেট টাইম : ১২:১৪:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ অগাস্ট ২০১৫

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালনের সার্থকতা অর্জনে সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে মাতৃদুগ্ধদান কক্ষ, কাজের ফাঁকে মাতৃদুগ্ধ দানের বিরতি প্রদান ও মাতৃদুগ্ধ দানবান্ধব কর্মক্ষেত্র তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
রাষ্ট্রপতি আজ বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশার কথা বলেন । আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সরকারিভাবে বাংলাদেশে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে এবং এই আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পুষ্টি সেবা এবং বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি ।
এবারের বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘কাজের মাঝে শিশু করবে মায়ের দুধ পান, সবাই মিলে সবখানে করি সমাধান’ যথাযথ হয়েছে বলেমন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি আশা করেন এবারের প্রতিপাদ্য মায়েদেরকে মাতৃদুগ্ধ পানে সচেতন ও উৎসাহিত করবে।
বাণীতে তিনি বলেন,মায়ের দুধ পানের সঠিক প্রচার ও প্রসারের ফলে বাংলাদেশে বর্তমানে জন্মের ১ ঘন্টার মধ্যে শিশুকে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর হার ৫৭ ভাগ। শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার ৫৫ এবং ২ বছর পর্যন্ত শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার ৯০ভাগে উন্নীত হয়েছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
এ ছাড়াও ৫ বছর বয়সের নিচে শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৪৬ এবং খর্বকায় শিশুর হার ৩৬ এ নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। সরকারের সময়োপযোগী এবং কার্যকর পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অতি সন্নিকটে পৌঁছে গেছে বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন।
আবদুল হামিদ বলেন ,স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ক্ষেত্রে মায়ের দুধ খাওয়ানোকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। কর্মস্থলে মা শিশুকে দুধ দান করতে পারলে এবং ঘরের তৈরি খাবার দিতে পারলে শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হবে এবং মা উৎসাহ নিয়ে কাজ করতে পারবেন। এতে কর্মক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং জাতীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে
রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০১৫’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মকাণ্ডের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।