একদিনের ব্যবধানে ফের দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়রবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচক বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
সপ্তাহের পঞ্চম ও শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৪ পয়েন্ট। আর সিএইতে সিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ৫০ পয়েন্ট।
এদিন ডিএসইতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। প্রথম ৩ মিনিটেই ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
অবশ্য এর ৫ মিনিটের ব্যবধানেই ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক কমে ৩ পয়েন্ট। ১০টা ৫০ মিনিটে কমে ১৩ পয়েন্ট। বেলা ১১টায় কমে ১৩ পয়েন্ট।
এরপর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক। বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। ১১টা ২০ মিনিটে বাড়ে ১ পয়েন্ট।
এ পর্যয়ে এসে আবারও নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দেয় মূল্য সূচকে। বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে যায়। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের তুলনায় কমে ৭ পয়েন্ট।
সূচকের এ নেতিবাচক প্রবণতা প্রায় ২ ঘণ্টা অব্যহত থাকে। এরপর দুপর ১টায় ডিএসইএক্স সূচক কমে ৬ পয়েন্ট, দেড়টায় কমে ৩ পয়েন্ট।
দুপুর ২টায় ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়। আর লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৭৯২ পয়েন্ট অবস্থান করছে।
এদিকে ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৮৯ পয়েন্টে।
দিন শেষে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬২৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। যা আগের দিনের তুলনায় ৩৭ লাখ টাকা কম। লেনদেন হওয়া ১৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। কমেছে ১১৭টি ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) শীর্ষ দশটি কোম্পানির তালিকায় আছে- লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, স্কয়ার ফার্মা, শাশা ডেনিম, বেক্সিমকো ফার্মা, আইডিএলসি, বেক্সিমকো, অলেম্পিক এক্সেসরিজ, গ্রামীণফোন, ফার কেমিক্যাল ও ইউনাইটেড পাওয়ার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসইএক্স সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫০ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৯৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট।
লেনদেন হওয়া শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২০টি, কমেছে ৯৫টি ও অপরিবর্তীত রয়েছে ৩৩টি।